সাপের জন্য সারাজীবন


ঢাকা, শনিবার, ২২ ফাল্গুন ১৪১৬, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৩১, ৬ মার্চ ২০১০

সাপের জন্য সারাজীবনকলকাতা থেকে মোটরসাইকেলে জরুরি কাজে বেরিয়েছিলেন তিনি। এর মধ্যে সেলফোনে খবর এল মুকুন্দপুর গ্রামে অতিকায় এক চন্দ্রবোড়া ধরা পড়েছে। সাপটি যাতে পালিয়ে যেতে না পারে সে জন্য মাছ ধরার কোচ দিয়ে সাপটিকে গেঁথে রাখা হয়েছে মাটির সঙ্গে। অপর প্রান্ত থেকে তাগাদা_ 'জলদি যান, সাপটিকে মেরে আসুন। কেউ সাহস পাচ্ছে না।' অনেক বড় ভুল করলেন অপর প্রান্তের লোকটি। যাকে সাপ মারতে বলছেন, তার জীবনের ধ্যানজ্ঞানই হচ্ছে সাপ রক্ষা করা। সৈয়দ মাহ্মুদ জামানের সঙ্গে আলাপচারিতায় ভারতের সর্পমানব খ্যাত ড. রক্তিম দাশ জানালেন তার সর্পপ্রেমের ইতিকথা
একে তো সাপটিকে কোচ দিয়ে মাটিকে গেঁথে রাখা হয়েছে, তার ওপর আবার দূর থেকে সবাই পাথর মারছে। এভাবে চলতে থাকলে কিছুক্ষণের মধ্যেই বিরল ওই বিষধর সাপটি মারা যাবে। সবাইকে দূরে সরে যেতে বললেন রক্তিম। ভালো করেই জানেন, চন্দ্রবোড়ার কামড়ের পর মুহূর্তের মধ্যে বিষ রক্তে মিশে যায় এবং দ্রুত রক্তকোষ ভেঙে দেয়। রোগীকে বাঁচাতে হলে অনেক সময় শরীরের রক্তও বদলাতে হয়। এদিকে, আহত সাপটি নিজেকে রক্ষার জন্য আরো ভয়াবহ হয়ে উঠছিল। রক্তিম সাধারণত খালি হাতেই সাপ ধরেন। কিন্তু এক্ষেত্রে আর ঝুঁকি নিতে চাইলেন না। একটি বাঁশের টুকরো নিয়ে বাঁ হাতে সাপের মাথা চেপে ডান হাতে কোচটি সরিয়ে ধরে ফেললেন সাপের গলা। কিন্তু ভাগ্য সহায় হলো না। চন্দ্রবোড়ার বিষাক্ত দাঁত গেঁথে গেল রক্তিমের হাতে। দীর্ঘদিন ধরে সাপ নিয়ে আছেন। স্নায়ু শক্ত হয়েছে রক্তিমের। আর তাই শরীরে বিষ ঢোকার পরও নিজের হাতে আহত সাপটির ক্ষত সেভলন দিয়ে ধুয়ে ব্যান্ডেজ করে ছেড়ে দিলেন। এরপর ফোন করলেন পরিচিত এক ডাক্তারকে। বিষরোধক অ্যান্টি ভেনম ইনজেকশন প্রস্তুত রাখতে বলে নিজেই বাইক চালিয়ে রওনা দিলেন ১২ কিলোমিটার দূরের ক্লিনিকের উদ্দেশে। যথাসময়ে বিষরোধক দেওয়া হলো। ডাক্তার বললেন, আপনি প্রথম রোগী যিনি ফোন করে বললেন সাপে কেটেছে এবং নিজেই এসে হাজির। সাপটা বেঁচে গিয়েছিল। কিন্তু রক্তিমকে টানা ১২ দিন কাটাতে হয়েছিল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে। ভারতের বেদেদের নিয়ে কলকাতার যাদবপুরে প্রতিষ্ঠা করেছেন 'বেদিয়া ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া'। এটি বেদেদের নিয়ে বিশ্বের একমাত্র সংগঠন। ১৯৭২ সাল থেকে ভারতে বেদে পেশা নিষিদ্ধ। কিন্তু তারপরও বেদে সম্প্রদায়ের অধিকারের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন রক্তিম। ভারতে প্রায় ৮ লাখ বেদের বাস। কিন্তু যাযাবর বলে ভোটার তালিকায় তাদের নাম নেই। নাগরিক অধিকার থেকে তারা বঞ্চিত। তবে অধিকার আদায়ের জন্যই কাজ করে যাচ্ছেন রক্তিম।সাপের প্রতি রক্তিমের আগ্রহ ছোটবেলা থেকেই। তখন থেকেই পোকামাকড় পুষতে শুরু করেন। "শরৎচন্দ্রের 'শ্রীকান্ত' চরিত্রটি খুব টানত। উইম্বলডনে টেনিস প্লেয়ার হানা মান্ডেলিকোভা কোর্টে আসতেন প্রকাণ্ড এক ময়াল সাপ নিয়ে। টিভিতে এসব দেখে রোমাঞ্চিত হতাম। এসব দেখেই আগ্রহটা জন্মায়"। রক্তিম আরো বলেন, 'পাড়ায় যেসব সাপুড়ে আসত সাপের খেলা দেখাতে, তাদের সঙ্গে ভাব জমানোর চেষ্টা করতাম। প্রথম দিকে পাত্তা দিত না। পরে আস্তে আস্তে বিশ্বাস অর্জন করলাম। ওদের বাড়িতে থেকেছি, খেয়েছি। বুঝতে শিখেছি। ওদের একটা আলাদা ভাষা আছে, মান্তা বা বেদিয়া ভাষা।' রক্তিমের এই শ্রম ও সাধনা বৃথা যায়নি। একসময় বেদে গোষ্ঠীকে একত্র করে তাদের অধিকার আদায়ে সফল হন তিনি। ২০০৫ সাল থেকে বেদেদের নাম উঠতে থাকে ভোটার তালিকায়। তবে সাপ ও সাপুড়ে নিয়ে মানুষের ভুল ধারণা ভাঙার লড়াই এখনো চলছে। কুসংস্কার নিয়ে নিজের জীবনের একটি গল্প শোনালেন রক্তিম। সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যাওয়ার সময় চাকায় একটি সাপ জড়িয়ে গিয়েছিল। সাপটিকে চাকা থেকে খুলতে গেলে সাপটি তাকে কামড়ে দেয়। আশপাশের সবাই একের পর এক পরামর্শ দিতে থাকে। কেউ হাতে বাঁধন দিতে এগিয়ে আসেন, কেউ ওঝা ডাকার কথা বলেন আবার কেউবা ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে চান। কিন্তু কিশোর রক্তিম জানতেন ওটা ছিল নির্বিষ সাপ। তাতেও কি তারা দমে! একজন বললেন, নির্বিষ হলেও শনি-মঙ্গলবারে সাপের বিষ হয়। আজ শনিবার, তাই বিষ ধরবেই। তাছাড়া আজ তো পূর্ণিমা। বিষ না থাকার প্রশ্নই আসে না! রক্তিম জানালেন, পূর্ণিমা-অমাবস্যায় যদি অতিরিক্ত কোনো চোখ-কান তৈরি না হয়, তবে সাপের বিষ আসাও সম্ভব নয়।এমন কুসংস্কারের অবশ্য কারণও আছে। ২৭০ প্রজাতির সাপ আছে ভারতে। বিশ্বের আর কোথাও এত বেশি প্রজাতির সাপ নেই। আবার হিন্দুদের ধর্মীয় আচারের একটি বড় অংশজুড়ে আছে এই সাপ। গোঁড়া বিশ্বাসীদের কাছ থেকে কুসংস্কার রটতেই পারে। রক্তিম বলেন, '২৭০টির মধ্যে মাত্র ৬০ প্রজাতির সাপ বিষাক্ত। এগুলোর কারণেই সাপের সঙ্গে মানুষের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। 'সাপ মানেই ভয়ঙ্কর একটা প্রাণী'_ধারণা নিয়ে থাকে প্রায় সবাই। দেখা মাত্রই ওটাকে মারতে তৈরি হয়ে যায়। অথচ শীতল রক্তের প্রাণীটিই কিন্তু কৃষিপ্রধান দেশটিতে ফসল ধ্বংসকারী ইঁদুরের মহামারী ঠেকিয়ে রেখেছে।'বেদেদের এই সংগঠনটি দাঁড় করানোর স্বীকৃতিস্বরূপ পিসি সরকার রিয়েলিটি অব ম্যাজিক প্রতিষ্ঠান থেকে সম্মানসূচক পিএইচডি ডিগ্রি দেয়া হয় রক্তিম দাশকে। তার তথ্যভাণ্ডার তাই যথার্থই সমৃদ্ধ। জানালেন, বছরে ভারতে প্রায় ছয় লাখ লোককে সাপে কাটছে। তবে এর মধ্যে মৃতের সংখ্যা অনেক কম। এক্ষেত্রে যদি সাপে কাটার পর ওঝা না ডেকে রোগীকে কোনো বেদের কাছেও নিয়ে যাওয়া হয় তাও ভালো হয়। কারণ সাপে কাটার প্রাথমিক চিকিৎসা ভালোই জানে ওরা। অজ্ঞ ওঝাদের কারণে অনেক সময় মৃত্যু এড়ানো যায় না। তবে আগে হোক পরে হোক, ডাক্তারবাবুর কাছে যেতেই হবে।ড. রক্তিম দাশকে নিয়ে যুক্তরাজ্যের 'গার্ডিয়ান' পত্রিকা গত ২ সেপ্টেম্বর একটি ফিচার প্রকাশ করে। এর নেপথ্যেও রয়েছে মজার ঘটনা। ২০০৯ সালের জুনে সাইপ্রাস সরকারের আমন্ত্রণে ইউরোপে গিয়েছিলেন রক্তিম দাশ। তিন মাস ধরে ইতালি, জার্মান, সুইডেন ও হল্যান্ডে ভারতীয় বেদেদের নিয়ে তিনি ২১টি লেকচার দেন। সেসময় ইতালির ভরুজায় স্নেকপার্কে র‌্যাটল স্নেক দেখে তা ধরার ইচ্ছা পোষণ করেন তিনি। পার্কের প্রধান ড. কার্লোস গ্লাভস ও সাপ ধরার লাঠি দিতে চাইলে রক্তিম বলেন খালি হাতে সাপ ধরে তিনি অভ্যস্ত। এরপর সবাইকে অবাক করে দিয়ে বিশ্বের অন্যতম বিষাক্ত র‌্যাটল স্নেক তুলে নিলেন অবলীলায়। উৎসবে উপস্থিত গার্ডিয়ানের সাংবাদিক রক্তিমের সঙ্গে কথা বলেন। আলাপচারিতায় জেনে নেন তার সাপপ্রেমের ইতিবৃত্ত।২০০৯ সালে বেদেদের নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেন রক্তিম দাশ। যা ২০০৯ কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ও জার্মানির হামবুর্গ চলচ্চিত্র উৎসবে জুরি অ্যাওয়ার্ড পায়। এই রক্তিম কিন্তু নিজেকে জন্মসূত্রে বেদে বলে পরিচয় দেন। পাকিস্তান আমলে বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতির পৈত্রিক ভিটে ছেড়ে রক্তিমের বাবা সুনীল রঞ্জন চলে গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গে। জন্ম সেখানে হলেও বাংলাদেশের প্রতি রক্তিমের আছে এক অদ্ভুত টান। সুযোগ পেলেই ছুটে আসেন। বেদেরা যেমন ছুটে যায় পাহাড়ে জঙ্গলে।http://www.dailykalerkantho.com/index.php?view=details&archiev=yes&arch_date=06-03-2010&type=gold&data=Antivirus&pub_no=96&cat_id=3&menu_id=47&news_type_id=1&index=1









হার্টের চিকিৎসায় সাপের বিষ



Wednesday, 08 August 2012 07:49:11 PM
হার্টের চিকিৎসায় সাপের বিষ
ঢাকা টাইমসডেস্ক: জার্মানিতে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক হয়ে। হার্টের প্রচলিত ওষুধে রয়েছে আবার ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। চিকিৎসক ও গবেষকরা এখন নতুন ওষুধ তৈরির ব্যাপারে মাথা ঘামাচ্ছেন। হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের অন্যতম প্রধান কারণ হল থ্রম্বোসিস বা রক্তের জমাটবাঁধা। যেসব ওষুধ দিয়ে রক্তের জমাটবাঁধা দূর করা বা প্রতিহত করা যায়, সেগুলোতে রয়েছে আবার অনেক ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। ফ্রাঙ্কফুর্টের জীবরসায়নবিদ ইয়োহানেস এব্লে বিকল্প কোনো উপাদান খোঁজ করছিলেন অনেক দিন থেকে। অবশেষে সাপের বিষে পেলেন তার সন্ধান। পূর্ব অস্ট্রেলিয়ার গাছগুলোতে আস্তানা গাড়তে ভালোবাসে বিষাক্ত ডোরাকাটা সাপেরা। গায়ের রঙ কালো, আঁশওয়ালা চামড়া। এই সাপের মারাত্মক বিষ যে কী করতে পারে, সেই অভিজ্ঞতা হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার এক সাপ গবেষক ব্রায়ান গ্রিগ ফ্রাইয়ের। তিনি জানান, ‘এই সাপ দংশন করার পর আমি পাঁচ মিনিটের মতো অজ্ঞান হয়ে ছিলাম। যখন জ্ঞান ফিরল, তখন আমার সারা দেহেই বিষের ঝড় বয়ে গেছে। রক্তের রাসায়নিক প্রক্রিয়া প্রায় ধ্বংসের মুখে। এজন্য যে ওষুধ দেয়া হয়েছিল, সেটা কাজে লাগতে ১৮ ঘণ্টা লেগে যায়। সে পর্যন্ত দংশনের জায়গাগুলো থেকে অনবরত ফোঁটা ফোঁটা রক্ত পড়তে থাকে।

সাপের বিষের প্রতিক্রিয়ায় রক্ত জমাট বেঁধে আঘাতটা সারতে পারেনি। এই খবরটা পেয়ে টনক নড়ে ওঠে ফ্রাঙ্কফুর্টের জীবরসায়নবিদ ইয়োহানেস এব্লের। হয়তো বা সাপের বিষেই পাওয়া যাবে রক্তের জমাটবাঁধা প্রতিহত করার নতুন ওষুধ। সাপের বিষে রয়েছে নানা ধরনের হাজার হাজার মলিকিউল বা অণু। সবগুলোই বিষাক্ত নয়। অনেকগুলো আবার অন্য উপাদানের সংস্পর্শে এসে বিষাক্ত হয়। ইয়োহানেস এব্লে জানান, সাপের বিষে শুধু যে রক্ত জমাটবাঁধা প্রতিহত করার উপাদান রয়েছে তা-ই নয়, কিছু কিছু উপাদান আবার জমাট বাঁধতেও সাহায্য করে। অর্থাৎ এক ধরনের উপাদানের কারণে শিরায় রক্ত যেমন জমাট বেঁধে যায়, অন্য উপাদানের কারণে আবার দেহের কোষে রক্ত প্রবাহিত হয়। ফলে রক্তের ঘনত্ব দারুণ কমে যায়, যা অত্যন্ত মারাত্মক। এ উপাদানগুলোই কাজে লাগাতে চান বিজ্ঞানী এব্লে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কার্যকর ও সামঞ্জস্যপূর্ণ কিছু তৈরি করতে প্রকৃতির লাখ লাখ বছর লেগেছে। তার মানে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াকে কম রাখার জন্য আমাদের প্রকৃতি থেকে শিখতে হবে। যার অভাব রয়েছে প্রচলিত ওষুধপত্রে। রক্তের জমাটবাঁধা প্রতিহত করার উপাদান খোঁজা বেশ সময় সাপেক্ষ। প্রথমে রক্ত জমাট বাঁধায় যে অণুগুলো কাজ করে সেগুলোকে খুঁজে বের করতে হবে। শরীরের আঘাতের জায়গা থেকে রক্ত পড়তে থাকলে, সেখানে এক ধরনের প্রোটিন বা কোলাজেন তৈরি হয়। রক্তের প্লাটিলেট নতুন আকৃতি নেয় এবং তৈরি করে এক ধরনের জাল। এই জালই আঘাত থেকে রক্তপাত বন্ধ করে।

সাপের বিষে একধরনের উপাদান থাকে, যা রক্তের কোলাজেন তৈরিতে বাধা দেয়। ফলে রক্ত জমাট বাঁধতে না পেরে অনবরত পড়তে থাকে। এখন প্রশ্ন এই যে, সাপের বিষে হাজার হাজার অণুর মধ্যে যেটি রক্তের জমাটবাঁধা প্রতিহত করে, সেটিকে খুঁজে বের করা যায় কীভাবে? এজন্য বিজ্ঞানী এব্লে ও তার সহকর্মীরা নতুন ধরনের এক পদ্ধতি বের করেছেন। প্রথমে রাসায়নিক পদ্ধতিতে কৃত্রিম কোলাজেন-রিসেপ্টর তৈরি করেন তারা। তারপর এটিকে সাপের বিষের সংস্পর্শে এনে রক্তজমাট প্রতিরোধী উপাদানটি খুঁজতে শুরু করেন। পদ্ধতিটি খুব সহজ বলেই মনে করেন জীবরসায়নবিদ ইয়োহানেস এব্লে। তার ভাষায়, অনেকটা মাছ ধরার মত। মাছ ধরতে হলে যেমন সঠিক টোপটি ফেলতে হয় তেমনই। কৃত্রিম রিসেপ্টরের কাছে সাপের বিষের কিছু অণু জমা হতে থাকলে গবেষণার দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হয়।

গণিত বিজ্ঞানীরা খুঁজে পাওয়া অণুগুলোর চালচিত্র হুবহু অনুকরণ করে কম্পিউটারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। রাসায়নিক বিজ্ঞানীরা এই অণুগুলো কৃত্রিম উপায়ে তৈরি করা যায় কিনা, সে ব্যাপারে অনুসন্ধান চালান। এসব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি নতুন ওষুধ বাজারে আসার আগে আরো অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে জীবরসায়নবিদ এব্লে ও তার সহকর্মীদের অবদান অনস্বীকার্য। তাদের অক্লান্ত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই সাপের বিষে ধন্বন্তরী উপাদানগুলো খুঁজে বের করা সম্ভব হয়েছে।