ওঝাদের ঝাপান প্রতিযোগিতা

banglanews24.com logo

ওঝাদের ঝাপান প্রতিযোগিতা


জুলফিকার আলী কানন, মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
বাবুরাম সাপুড়ে/কোথা যাস বাপুরে/আয় বাবা দেখা যা/দুটি সাপ রেখে যা-- কবির এ চেনা চরণগুলো আবহমান গ্রামবাংলার সাপখেলার এক ঐতিহ্য বহন করে। ঐতিহ্যবাহী এ সাপখেলা আজও গ্রামবাংলার মানুষকে আলোড়িত করে।

সম্প্রতি সাপের সাথে নাচের অপূর্ব সমন্বয় ঘটিয়ে মেহেরপুর সদর উপজেলার মদনাডাঙ্গা গ্রামে হয়ে গেল ‘ঝাপান প্রতিযোগিতা’। ঝাপান হলো সাপ খেলার প্রতিযোগিতা। একের অধিক সাপুড়ের দল তাদের সাপের সংগ্রহ নিয়ে গ্রাম এলাকায় বাগান অথবা ফাঁকা মাঠের মঞ্চে এই প্রতিযোগিতা করে। বাজনা ও গানের তালে তালে তাদের নিজ নিজ সাপের প্রদর্শনসহ খেলা দেখায়। যে দল তাদের সাপ নিয়ে লোমহর্ষক খেলা দেখিয়ে দর্শকদের আনন্দ দিতে পারবে, সেই দল এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হবে। অনেকে এই খেলায় জিততে সাপের কামড়ও খায়।

এই প্রতিযোগিতায় দর্শকরাই বিচারক। বিজয়ী দলকে সাধারণত টাকা দেওয়া হয়। মদনাডাঙ্গা গ্রামের এ প্রতিযোগিতায় ৪টি সাপুড়ে দল অংশগ্রহণ করে। আর সাপখেলা উপেভোগ করেন এলাকার কয়েক হাজার দর্শক। মদনাডাঙ্গা গ্রামের সাপুড়ে হেমাত আলী এই প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন।

গাংনী উপজেলার ষোলটাকা গ্রামের সাপুড়ে আজগর আলী বাংলানিউজকে জানান, ৩৭ বছর যাবৎ সাপের খেলা দেখিয়ে ও সাপ ধরে এলাকার মানুষকে নানাভাবে আনন্দ দিয়ে আসছি।
হাড়িয়াদহ গ্রামের হাজী ইসমত আলী বাংলানিউজকে জানান, সাপ একটি হিংস্র প্রাণী। আমি এলাকার শত শত সাপে কাটা মানুষের চিকিৎসা দিয়েছি। আল্লার রহমতে আমার কাছে আসা কোনো সাপে কাটা রোগীর সমস্যা হয়নি।
তবে তিনি সাধারণ মানুষকে সাপ থেকে দুরে থাকার পরামর্শ দেন।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৭৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০১১

কোথাও থামতে হয় যাযাবরদেরও!


কোথাও থামতে হয় যাযাবরদেরও!


আশরাফুল ইসলাম
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
যুগের পরিবর্তনের সাথে পাল্টে যায় অনেক কিছুই। পাল্টে যায় মানুষের জীবনচর্চার ধরন-ধারণ, ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি, সামাজিক রীতিনীতি, বংশপরম্পরার পেশা-- এমন অনেক কিছুই । জীবনধারণের নিত্যদিনকার চাহিদা, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক প্রতিকূলতায় হার মেনে ঐতিহ্যগত জীবনচর্চার আমূল পরিবর্তন এখন বিরল কোনো ঘটনা নয়; বরং দেশে দেশে মানব সভ্যতার বিবর্তনের এমন দৃশ্যপটকে স্বাভাবিক হিসেবেই দেখেন নৃ-বিজ্ঞানীরা।

মানবসভ্যতার ব্যাপক উৎকর্ষের যুগেও বাংলাদেশে কিছু ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর দেখা মেলে, যাঁরা এখনো ঘোচাতে পারেনি আদিম জীবনচর্চার অনেক অভ্যাস। সাপুড়ে বা বেদে সম্প্রদায় এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য। এরা মূলত নদী-খাল-বিলে নৌকায় ভাসমানভাবে বা স্থলে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ভ্রাম্যমাণ-যাযাবর জীবন যাপনে অভ্যস্ত। বৈচিত্র্যময় ও ঝুঁকিপূর্ণ জীবনযাপনের এমন রীতি তাদের পূর্বসূরিদের থেকেই প্রাপ্ত। পূর্বসূরিদের প্রতি অমোঘ শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় ঐতিহ্যগত এ জীবনচর্চায় পরিবর্তন আনতে খুব কমই চিন্তা করে নৃ-তাত্ত্বিক এ জনগোষ্ঠী।
কিন্তু যুগের পরিবর্তনের সাথে সামাজিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতার কাছে পরাজয় বরণ করে এবং ভবিষ্যত‍ প্রজন্মের কল্যাণের কথা বিবেচনা করে যাযাবর সাপুড়ে জনগোষ্ঠীও সুশৃঙ্খল ও স্থায়ী জীবনযাপনের চেষ্টা করছে। নৃ-তাত্ত্বিক এ জনগোষ্ঠীর পরিবর্তিত জীবনযাপনের এমন দৃশ্যের দেখা মিলবে গাজীপুর জেলার সদর উপজেলার পূবাইল ইউনিয়নের খোরাইদ গ্রামের বাইনান্দিরটেক নামক স্থানে। এখানেই প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বসবাস করছে দেড় হাজারেরও বেশি সাপুড়ে জনগোষ্ঠী।

আজীবন ন্যূনতম মৌলিক চাহিদার সংস্থানে হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়ানো বাইনান্দিরটেকের সাপুড়েরা নদীতে ভাসমান বসবাস ত্যাগ করে সমতলে স্থায়ী আবাস গড়েও সেই কাঙ্ক্ষিত মৌলিক চাহিদার দেখা পাচ্ছেন না। তাদের প্রতি সমাজের বিকৃত দৃষ্টিভঙ্গি, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ অন্যান্য সামাজিক সুবিধার অনুপস্থিতি এই জনগোষ্ঠীকে ফেলেছে চরম হতাশা আর অনিশ্চয়তার মাঝে।

সাপুড়ে পল্লীর সর্দার আলাউদ্দিন ভান্ডারীর (৬০) সাথে কথা বলে জানা যায় এ জনগোষ্ঠীর দুর্দশাগ্রস্ত জীবনের নানা কথা। বাইনান্দিরটেকের সাপুড়েদের পূর্বসূরিরা মুন্সিগঞ্জের মুন্সিরহাটে পদ্মার তীরে নৌকায় ভাসমান জীবনযাপন করত। মুন্সিরহাট থেকে পাড়ি জমিয়ে একসময় তারা আস্তানা গাড়ে টংগীর তুরাগের তীরে। এখানেই কয়েক যুগ পার করে দেয় তারা। প্রতিনিয়ত জীবনসংগ্রামে ক্লান্ত সাপুড়ে সর্দাররা একসময় নতুন ভাবে বাঁচবার কথা ভাবতে শুরু করেন। চরম কৃচ্ছতা সাধনের মাঝেও অল্প অল্প করে জমানো টাকায় মাথা গোঁজার ঠাঁই করতে এক টুকরো জমি কেনার চেষ্টা করে। সাপুড়েদের মাঝে যারা একটু সচ্ছল তারাই জমি কেনার ইচ্ছা পোষণ করে। অনেক খোঁজাখুজির পর ১৯৯৩ সালের দিকে গাজীপুর সদরের পূবাইল ইউনিয়নের ঝোঁপঝাড়ে ঘেরা দুর্গম গ্রাম খোরাইদের বাইনান্দিরটেকে এসে মিলে তাদের সেই মাথা গোঁজার ঠাঁই। প্রথমে দু-এক জন সাপুড়ে ১০/১২ হাজার টাকা গন্ডায় কয়েক শতাংশ জমি ক্রয় করে সামান্য ‘ডেরা’ (লতাপাতা দিয়ে তৈরি ক্ষুদ্রাকৃতির অস্থায়ী ঘর) স্থাপন করে সাপুড়ে পল্লীর গোড়াপত্তন করেন। পর্যায়ক্রমে এখানে সাপুড়েদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। দারিদ্র্যের সাথে যুদ্ধ করেও যারা কিছু সঞ্চয় করতে সক্ষম হয়েছিলেন এমন সাপুড়েদের আরো অনেকে খণ্ড খনণ্ড জমি কিনে গড়ে তুলেন তাদের ‘ডেরা’। দু’এক ঘর করে বাইনান্দিরটেকে সাপুড়েদের বহর শ’ ছাড়িয়ে হাজারে পৌঁছে। বসতি স্থাপনের প্রায় দেড় যুগে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দেড় হাজারে।

দারিদ্র্যের সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকা এ সম্প্রদায়ের মানুষদের মাঝে রয়েছে পারস্পারিক পরম সৌহার্দ্যবোধ। তাই যাদের বাইনান্দিরটেকে জমি কেনার ভাগ্য হয়নি এমন বহু সাঁপুড়েও বাস করছেন স্বগোত্রীয় আরেক জনের কেনা জমিতে ছোট ঘর তৈরি করে। আজীবন নানা অভাবের সাথে লড়াই করে শেষ সময়ে এসে সাপুড়ে সর্দারারা একটু স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবন-যাপনের স্বপ্ন দেখলেও এখনো তা রয়ে গেছে স্বপ্নেই। বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক চড়া দাম, অপরদিকে রোজগারের উৎস সাপখেলা দেখানো, সাপের কামড়ের বিষ খোলা, বসতবাড়ি থেকে সাপ উদ্ধার করা কিংবা তাবিজ-কবচ সেবাতেও এখন আর মানুষজন বেশি উৎসাহী নন। এমন বাস্তবতায় ছেলে-সন্তান নিয়ে বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে উঠেছে বাইনান্দিরটেকের সাপুড়েদের জন্য। রাষ্ট্রীয় নাগরিক সুযোগ-সুবিধার সিংহভাগই অনুপস্থিত এখানে।
সাপুড়েরা জানান, এ পল্লীতে ৩৯০ জন ভোটার রয়েছেন। স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনের আগে তাদের কদর বেড়ে যায়। সে সময় প্রার্থীরা ঘন ঘন যাতায়ত করেন, সুখ-দু:খের খবর নেন। তবে নির্বাচনের পড়ে ভুলেও কেউ এ পথ মাড়ান না বলে অভিযোগ সাঁপুড়েদের। সাপের খেলা দেখানো কিংবা সাপ ধরার কাজ করলেও এখানকার সাপুড়েরা সবাই ইসলাম ধর্মাবলম্বী। নিজেদের প্রচেষ্টায় এখানে তারা একটি মসজিদও নির্মাণ করেছেন। সামাজিকভাবে বসবাস করার সব ধরনের সদিচ্ছা রয়েছে সাপুড়েদের। তার পরও দারিদ্র্যের কাছে বার বার হার মানা।

এখানকার সাপুড়ে পরিবারের বহু শিশু-কিশোরদের দেখা মিলবে পল্লীতে, যারা দারূণভাবে অপুষ্টিতে ভুগছে । অপুষ্টিতে আছে শিশুদের মা-বাবারাও। ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা করানোর প্রাণান্তকর চেষ্টা থাকলেও এখানে গড়ে উঠেনি কোনো সরকারি স্কুল। এনজিও পরিচালিত একটি শিশুস্কুল থাকলেও চড়া বেতনের কারণে অনেকে পারছেন না সেই স্কুলে পড়াতে। সাপুড়েপল্লীর আবদুল মালেকের স্ত্রী জাহিরূন নেছা (৫০) আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমাগোর বাচ্চা পুলাপান স্কুলে গেলে অন্য পুলারা (শিক্ষার্থী) সাপুইড়ার সন্তান বইলা তাগোর লগে খারাপ ব্যবহার করে। ঘিন্নার চোহে দ্যাহে। আমাগোরও ইচ্ছা নিজেগর বাচ্চারা পড়ালেখা শিখুক-বড় অউক।’

বাইনান্দিরটেকের সাপুড়েপল্লীর বেশির ভাগই এখনো উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত ঐতিহ্যের পেশা ছাড়েননি। এখানকার বাসিন্দাদের সিংহভাগই সাপের খেলা দেখানো, ওঝার কাজ করা, তাবিজ-কবচ দেয়া, বসতবাড়ি থেকে সাপ উদ্ধার করা, বেজির খেলা দেখানো ইত্যাদি কাজের মাধ্যমে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। কিন্তু আধুনিক যুগের মানুষজন এসবের প্রতি খুব বেশি আকৃষ্ট না হওয়ায় সাপুড়েদের রোজগারও নেমে গেছে অনেক নিচে।  অথচ প্রয়োজনীয় সব দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি সাপুড়েদের ক্রমেই ভাবিয়ে তুলছে। কেউ কেউ বিকল্প পেশার সন্ধানেও ছুটছেন।

ইতিহাসবিদ, গবেষক ও গাজীপুর সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষক ড. ফরিদ আহমেদ জানান, ‘প্রায় সব নাগরিক সুবিধাই এখানে অনপুস্থিত। এ জনগোষ্ঠীর মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ না হলে তাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম অন্ধকার পথে ধাবিত হবে। তাই রাষ্ট্রের উচিত নাগরিক হিসেবে সাপুড়েদের সকল মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করা
সাপুড়েপল্লীর এমন মানবিক সংকট সহানুভূতির উদ্রেক করে স্থানীয় সচেতন নাগরিকদেরও। তাদের মতে, গাজীপুরের মতো শিল্পোন্নত জেলায় এদের পূনর্বাসিত করা কঠিন কিছু নয়। স্থানীয় দৈনিক জনসংবাদের সম্পাদক এম মাহফুজুল হক মনে করেন, ‘আধুনিক যুগে সব শ্রেণীর মানুষের জীবনযাত্রার উন্নয়ন হলেও সাপুড়ে সম্প্রদায়ের মতো কিছু ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর ভাগ্যের পরিবর্তন না হওয়া বৈষম্যের, যা মোটেও কাম্য নয়। ঐতিহ্যের পেশার পাশাপাশি তাদের সরকারিভাবে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা গেলে এই সম্প্রদায় অনেকটা সাবলম্বী হয়ে উঠতে পারে।

Against violation of right to livelihood

Indian Express

Against violation of right to livelihoodRaktim Das

Shiv Sahay Singh Posted online: Sun Oct 16 2011, 05:05 hrs
For over two decades, Raktim Das has studied life and culture of the nomadic tribe of snake charmersSnakes and snake charmers have always evoked curiosity in India. Like many others, Raktim Das in his childhood was also awed by their charm and he used to spend hours, often missing his school, to watch snake charmers making serpents dance. Today 38-year-old Raktim Das is an authority over snakes and snake charmers and has also become their voice.
What makes Raktim Das stand apart is his knowledge about the life and culture of the snake charmers, the acceptance he has found in the tribe and the fight he has waged for their rights.
He possesses startling facts about snake charmers, a nomadic community spread across the length and breadth of India, known by different names: Bedia in Bengal, Kher in Orissa, Sapera in North India and Mahar in Maharashtra. According to Das, who has spent over two decades with snake charmers, there are about 8 lakh snake charmers in India and about 1 lakh in Bengal.
There are 43 khoms or different types of communities of snake charmers which are involved in selling honey, selling bangles, making tatoos on skins. Some of them also make their livelihood by showing magic tricks and dressing up as gods and goddesses.
According to Das, snake charmers use a distinct language to communicate among each other. This dialect known as Mangta (to beg) also has a script as Das argues that snake charmers’ ancestors were spies who worked for kings. They follow the beliefs of both Hinduism and Islam and often in one family there could be people following different faiths.
Nowadays, the tribe has started settling in places like Baruipur in South 24 Parganas, Bishnupur in Bankura and Malda and Murshidabad.
Das says with the changing times, particularly after the Wildlife Protection Act of 1972 which outlawed snake charming, this is fast becoming a dying art and slowly their culture and language are on the wane.
“If tribals have a right to forests, snake charmers should have a right to possess and handle snakes,” Das says.
He says the tribe can play a role in spreading awareness about snakes and also helping the medical tribe treat snake bites.
Moreover, if the tribe is allowed to sell venom, its socio-economic condition will improve.
In February 2009, he persuaded the snake charmers across the country to come under the banner of Bedia Federation of India at Moulali Yuva Kendra. On February 17, 2010 about 15,000 snake charmers from the country held a demonstration demanding their rights. Following the efforts by Das to unite the snake charmers of India, some other groups have also come up in neighbouring countries of Bangladesh and Nepal.
Das says it is most important the tribe should have a right to livelihood. http://www.indianexpress.com/news/against-violation-of-right-to-livelihood/860555/

আড়াই হাজার বছরের বেদে সভ্যতা এবার কলকাতার পূজার থিম!

banglanews24.com logo

30 Sep 2011   03:30:21 PM   Friday BdST  E-mail this

আড়াই হাজার বছরের বেদে সভ্যতা এবার কলকাতার পূজার থিম!


সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
বেদিনি রূপি মা দুর্গা কলকাতার পূজামণ্ডপে ছবি/বাংলানিউজ
কলকাতা: ওরা এসেছেন পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে। কালু মাল, আলি মুহম্মদ বেদে, ডোমনা বেদে, অমিত চিত্রকর।

কেউ সাপ খেলা দেখান, কেউ বাজিকর, কেউ আবার চিত্রকর। পেশার ভিন্নতা থাকলেও এরা সবাই বেদে জনগোষ্ঠির মানুষ।

কলকাতা মহানগরীর দুর্গা পূজায় এবার ওদের মতো প্রান্তিক জনগোষ্ঠিকে  থিম হিসেবে হাজির করেছে উত্তর কলকাতার দমদম মলপল্লী সার্বজনীন দুর্গাপূজা কমিটি।

উপমহাদেশের বিশিষ্ট বেদিয়া গবেষক ড. রক্তিম দাশের বই ‘নৃতত্ত্বের আলোকে বেদিয়া জনজাতি’ থেকেই এবার এই থিমের পরিকল্পনা জানালেন শিল্পী সোমনাথ মুখার্জি।

সোমনাথ মুখার্জি বলেন, আমি বইটি পড়ে মনে করেছিলাম এই জনগোষ্ঠির যন্ত্রণাকে মানুষের সামনে হাজির করতে হবে।

এদের ভাষা ও সংস্কৃতি যা আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন তা আজ হারিয়ে যাচ্ছে। বাংলা তথা এই উপমহাদেশের লোক সংস্কৃতি চিরকালই থেকে  গেছে লোকচক্ষুর অন্তরালে।

এবারের কলকাতা পূজোয় এই অভিনব পরিকল্পনা নিয়ে ইতোমধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

এরফলে পূজোর কটাদিন এই মন্ডপে দর্শনার্থীর ঢল নামবে বলে বাড়তি পুলিশ চাওয়া হয়েছে প্রশাসনের কাছে- এমনটাই জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।

সাপের বাসার আকৃতি এই মণ্ডপটির ওপরে  রয়েছে একটি বিশাল ঢুগডুগি। বেদেদের ঘর বাড়ির আদলে মণ্ডপটি গড়ে ওঠেছে পাটকাঠি দিয়ে।

মণ্ডপের দেওয়ালে রয়েছে পটচিত্রে সম্পূর্ণ মনসামঙ্গল কাব্যটি। মণ্ডপের ভেতরের ওপরের সিলিং  থেকে ঝুলানো  হয়েছে সাপ রাখা ঝুড়ি আর বিন।

দুর্গা প্রতিমা এখানে একটি বেদেনি মেয়ে। ত্রিশুলের বদলে সাপ ধরার খন্তা দিয়ে  তিনি এখানে অসুর বধ করছেন। প্রতিমার পেছনে চালচিত্রে রয়েছে পঞ্চনাগ। আটপৌরে বেদিনী মেয়েদের  মতো দেবীর পরণে ছাপার শাড়ি।

আর যাদের নিয়ে এত কথা তারা! তারাও আছেন। মণ্ডপের ভেতরে তৈরী করা হয়েছে তাবু। এই কটি দিন তারা তাদের সংস্কৃতি- সাপ খেলা, পটের গান, পুতুল খেলা আর মাদারির খেলা দেখাবেন।

মণ্ডপের বাইরে থাকছে এই জনগোষ্ঠির ইতিহাসের একটি প্রর্দশনী। এদের নিয়ে আন্দোলনরত ভারতের বেদিয়া ফেডারেশনের  বিভিন্ন দাবি নিয়ে প্রচার কর্মসূচি।

বেদিয়া ফেডারেশনের সম্পাদক ড. রক্তিম দাশ এনিয়ে বলেন, আমাদের আন্দোলনের এটা একটা নতুন দিক। দুর্গা পূজাকে কেন্দ্র করে যে ব্যাপক মানুষের সমাগম  ঘটে তাদের সামনে এবার আমরা আমাদের কথা তুলে ধরতে পারব।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১১

পশ্চিমবঙ্গে বেদে সম্প্রদায়ের জন্য আদর্শ গ্রাম গড়ে তোলার ঘোষণা

 


14 Sep 2011 01:40:52 AM Wednesday BdST


সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম


কলকাতা: বেদে সম্প্রদায়ের জন্য আর্দশ গ্রাম গড়ে তোলা হবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনায়।

মঙ্গলবার কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবেকানন্দ হলে প্রয়াগ সারপেন্ট্রি রিসার্চ অ্যান্ড কালচার ও লিটল ম্যাগাজিন ‘ঠেক’র এর উদ্যোগে এক আলোচনায় সভায় এই ঘোষণা দেওয়া হয়। যাযাবর বেদে সম্প্রদায় নিয়ে এরকম একটি গ্রাম বিশ্বে এই প্রথম।

বেদেদের ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষা ও পুনর্বাসনের জন্য ‘বাংলার বেদিয়ারা, প্রান্তিক লোকবর্গ, লুপ্তপ্রায় লোকাচার’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় উপমহাদেশের বিশিষ্ট বেদিয়া গবেষক ড. রক্তিম দাশকে বেদে জনজাতির ওপর গবেষণার জন্য বিশেষ সম্মাননা দেন আর্ন্তজাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সর্প বিশারদ ডা. অমিয় কুমার হাটি।

এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে গবেষণা পত্র পাঠ করেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শমিতা মান্না, লোক সংস্কৃতির গবেষক ননীগোপাল মালো, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান ড. অচিন্ত্য বিশ্বাস।

অনুষ্ঠানে বিজ্ঞানী অমিয় কুমার হাটি বলেন, ‘রক্তিম দাশের লেখা বইটি ‘নৃতত্ত্বের আলোকে বেদিয়া জনজাতি’ আমাদের সামনে বেদে জনজাতিকে জানবার একটি প্রামাণ্য দলিল। এই বইটির জন্য তার রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পাওয়া উচিত। একজন সাংবাদিক হয়েও তিনি যেভাবে এই জনজাতিকে সংগঠিত করেছেন ও তাদের নিয়ে এই বইটি লিখেছেন তা প্রশংসার দাবি রাখে।’

রক্তিম দাশ তার আলোচনায় বলেন, ‘বেদে জনজাতি বাংলাদেশ ও ভারতে ধীরে ধীরে নিশ্চিহ্ন হওয়ার দিকে এগুচ্ছে। কিছু মানুষ অবৈধ ভাবে মূল্যবান সাপের বিষ বিক্রি করছেন। সরকার যেন এই নিয়ম চালু করেন যে, তারাই শুধু বিষ বিক্রির অধিকারী হয়ে জীবনধারণ করতে পারেন।’

বেদেদের ভাষা ও সংস্কৃতি সংরক্ষণের জন্য সরকারি হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রয়াগ গ্রুপ যারা এই সারপেন্ট্রি রিসার্চ অ্যান্ড কালচার গঠন করেছেন, তারা এই কাজে এগিয়ে আসুন। বেদেদের নিয়ে একটি স্থায়ী প্রর্দশনশালা করুন। তাহলে দেশ-বিদেশের বহু মানুষ এসে এদের জীবিকা, সংস্কৃতি ও ভাষা সম্বন্ধে জানতে পারবে।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রয়াগ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অভীক বাগচী বলেন, ‘আমরা ওনার (রক্তিম দাশ) প্রস্তাব মেনে নিচ্ছি। সরকারি উদ্যোগে নয় বেসরকারি ভাবেই আমরা চন্দ্রকোনায় প্রয়াগের নবনির্মিত ফিল্মসিটিতে এর জন্য ৫০ একর জমি বরাদ্ধ করব। এইখানেই গড়ে উঠবে বেদেদের জন্য আর্দশ গ্রাম। এইভাবেই আমরা সবার সহযোগীতা নিয়ে আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন এই সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে সচেষ্ট হব।’

আলোচনা সভার শেষে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বেদেরা তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য প্রর্দশন করেন।
http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=61d43ba87e4489ad818a72f1abe4e28c&nttl=2011091401405257607&toppos=7

সারা বিশ্বে নজিরবিহীন ঘটনা : বেদে সম্প্রদায়ের জন্য হচ্ছে আদর্শ গ্রাম

দীপক রায় : অনেক ধরনের আদর্শ গ্রামের কথা শোনা গেছে। কিন্তু সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন যাযাবর জীবনযাপনে অভ্যস্ত বেদে সম্প্রদায়ের মানুষদের জন্য আদর্শ গ্রামের উদ্যোগ সম্ভবতঃ এই প্রথম। বহু বছর ধরেই বেদে সম্প্রদায়কে নিয়ে কাজ করছেন রক্তিম দাস। একাধারে সাংবাদিক, বিজ্ঞানকর্মী, সমাজকর্মী, গবেষক, লেখক রক্তিম দাস সারা ভারত বেদিয়া ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদকও বটে। তাঁর ডাকে হাজার হাজার বেদিয়া সাপ নিয়ে ছুটে আসে রাজপথে। নিঃস্ব, নিরক্ষর, চালচুলোহীন বেদিয়াদের সামাজিক স্বীকৃতির জন্য বেদিয়া ফেডারেশনের অবদান এদেশে অনেক। দিনের পর দিন বেদিয়াদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে রক্তিম দাস একদিকে যেমন তাঁদের দাবিগুলো সরকার বাহাদুরের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছেন, পাশাপাশি বেদিয়াদের জীবনধারা, রীতিনীতি, লোকাচার, সংস্কার, পেশাগত দিকগুলোকে নথিবদ্ধ করেছেন ‘নৃতত্ত্বের আলোকে বেদিয়া জনজাতি’ নামক একটি অনন্য গ্রন্থে। গ্রন্থটি বাংলাদেশ ও ভারতের উভয় দেশের বেদিয়াদের নিয়েই লেখা। আবার বইটি প্রকাশিতও হয়েছে দুই দেশ থেকেই। সেই নিরিখে বাংলাদেশের বেদেদের নিয়েও রক্তিম দাসের সহযোগিতায় গড়ে উঠেছে সংগঠন। আর তাঁর পাশে অভিভাবকের মতো আছেন বিশ্বসেরা জাদুকর পি সি সরকার।

সম্প্রতি, রক্তিম দাসের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বেদেদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থা 'প্রয়াগ'। তারা বেদে সম্প্রদায়ের জন্য আর্দশ গ্রাম গড়ে তোলার জন্য ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলাতে নবনির্মিত ফিল্মসিটিতে এর জন্য ৫০ একর জমি বরাদ্ধ করেছেন। যা বিশ্বের ইতিহাসে নজিরবিহীন। এই প্রসঙ্গে রক্তিম দাস জানান, ‘বেদে জনজাতি বাংলাদেশ ও ভারতে ধীরে ধীরে নিশ্চিহ্ন হচ্ছে। অথচ, কিছু মানুষ বেআইনিভাবে ভাবে বহুমূল্যবান সাপের বিষ বিক্রি করছেন। সরকার যদি এই নিয়ম চালু করে, বেদেরাই কেবলমাত্র বিষ বিক্রির অধিকারী হবে, তাহলে তারা ভালভাবে জীবনধারণ করতে পারে। বেদিয়া ভাষা-সংস্কৃতি সংরক্ষণের জন্য সরকারি হস্তক্ষেপ খুবই দরকার। 'প্রয়াগ গ্রুপ' যারা এই সারপেন্ট্রি রিসার্চ অ্যান্ড কালচার গঠন করছেন, তারা এই কাজে এগিয়ে এসে বেদেদের নিয়ে একটি স্থায়ী প্রর্দশনশালা করছে। এতে দেশ-বিদেশের বহু মানুষ এসে বেদেদের জীবিকা, সংস্কৃতি ও ভাষা সম্বন্ধে জানতে পারবে। এইভাবেই সবার সহযোগীতা নিয়ে আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন এই সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে সচেষ্ট হতে হবে।’

লেখকঃ দৈনিক আজকাল ও গণশক্তি'র নিয়মিত পত্রলেখক
 

Snake Venom Protein Paralyzes Cancer Cells

Oxford Journals Medicine JNCI J Natl Cancer Inst Volume93, Issue4
     Pp. 261-262.

Snake Venom Protein Paralyzes Cancer Cells
Robert Finn
A component of snake venom has demonstrated its ability to inhibit cancer cell migration in two different cancer models. The protein, called contortrostatin, seems to block cell migration in a novel way.
Francis S. Markland, Ph.D., professor of biochemistry and molecular biology at the University of Southern California Keck School of Medicine, Los Angeles, was examining venom from the southern copperhead Agkistrodon contortrix contortrix for its clot-busting properties when he learned that a group in Taiwan had found disintegrins—integrin antagonists—in the venom of another snake.
“I thought it would be interesting to see if a similar protein was present in southern copperhead venom,” recalled Markland in an interview. “But our initial studies showed no activity. The problem was that we were looking at its ability to inhibit platelet aggregation, and in the crude venom there are also platelet aggregating agents.” After purifying the venom, Markland and his colleagues found a minor component of the venom that worked as a disintegrin, and this is the protein they named contortrostatin.
The integrins are a family of transmembrane receptor proteins that bind to components of the extracellular matrix. One of their functions is to grip the extracellular matrix, providing traction and allowing cells to migrate from one place to another. Researchers in a number of laboratories are focusing on one integrin in particular, called αvβ3. This integrin is present on the surface of cancer cells and is thought to be critical in metastasis.
Contortrostatin appears to block cell migration both by binding to a cell-surface protein in the integrin family, preventing it from gripping the extracellular matrix, and by scrambling signals to the cytoskeleton.
“We knew on the basis of contortrostatin’s ability to inhibit platelet aggregation that it was interacting with integrins, and we also knew that there are integrins on the surface of cancer cells,” noted Markland. “Therefore we reasoned that it might be fruitful to look at its anticancer activity.”
The group found that contortrostatin had very effective inhibitory properties on adhesion to several extracellular matrix proteins such as fibronectin and vitronectin. They also found that it was effective in inhibiting tumor cell invasion. Using human breast cancer cells and human ovarian cancer cells in immunodeficient mice given daily intratumor injections of contortrostatin, they discovered that it inhibited tumor dissemination and angiogenesis.
Moreover, the side effects were relatively minimal, said Markland. “There’s some oozing at the side of the injections in the breast cancer model. And in the ovarian cancer model we’ve seen some petechiae [hemorrhagic spots], which is an anti-platelet effect. Aside from its effect on platelets, there have been minimal or no side effects, and certainly there has been no evidence of internal hemorrhaging.”
Recently Matthew R. Ritter, a graduate student in Markland’s lab, attempted to tease out contortrostatin’s exact mechanism of action. What he found was a surprise, said Markland. The researchers expected contortrostatin to work the same way other disintegrins did, namely by interfering with αvβ3’s binding to extracellular matrix proteins. But contortrostatin apparently does more.
Integrins can bind to extracellular proteins only when they cluster in groups known as focal adhesions. Normally integrins are spread diffusely over the cell membrane, but when one molecule binds to its ligand it sends an intracellular signal that leads to the formation of a focal adhesion. In a poster session at the 40th Annual Meeting of the American Society for Cell Biology, Ritter and Markland (along with colleague Qing Zhou) reported that by crosslinking αvβ3 integrins, contortrostatin caused intracellular signals that are both spatially and temporally inappropriate. These faulty signals disrupt both the focal adhesions and the actin cytoskeleton.
David A. Cheresh, Ph.D., a professor in the departments of immunology and vascular biology at the Scripps Research Institute, La Jolla, Calif., who works on integrins in angiogenesis and neoplasia, is intrigued by Markland’s work, but in an interview he expressed some skepticism. In particular Cheresh noted that Markland maintains that contortrostatin acts as both an antagonist, since it blocks αvβ3 binding to matrix proteins, and as an agonist, causing αvβ3 to send a faulty signal.
“It’s a very interesting molecule,” said Cheresh. “It’s a very exciting observation. I’m not sure, however, what the mechanism is, and I’m not sure how much of the biological activity they see in vitro is due to the agonistic effects or the antagonistic effects. It’s a little hard to sort that out. I’m not sure you couldn’t get a similar effect with just a decent antagonist. [Are] the signaling properties really critical to its biological activity?”
Cheresh said that there are two monoclonal antibodies to αvβ3 integrin currently in phase II clinical trials. Vitaxin is being developed by MedImmune Inc., Gaithersburg, Md., and Cilengitide is being developed by Merck KgaA, Darmstadt, Germany. Markland said that although several pharmaceutical companies have expressed interest in contortrostatin, he has not yet developed a partnership with any of them to begin the clinical development.
And Cheresh cautioned that it may be a long road from the laboratory to the clinic. “Certainly in culture it’s an interesting molecule. The question is, can one develop this toward cancer? One has to be concerned with the pharmacodynamic properties, and of course those are major stumbling blocks going from an interesting cell-biological observation, as these folks have made, to a potential drug candidate.”

       Minimize+

Journal of the National Cancer Institutejnci.oxfordjournals.org

1.   

‘মা মনসারে কিছু দে !

ট্যাকা দেখলে ফুতরি লাগে

হাতে পেঁচানো কালনাগিণী। কখনো হাতে, কখনো গলায়। যখন হাঁটে, কেঁপে কেঁপে ওঠে মাটি। ভয়-ডর কি, তা জানে না। খুব কৌশলে সাপটি ধরে রাখে। হাট-বাজার, মেলা-খেলা আর নানা উৎসবে যায় ফুকা (গাওয়াল করে টাকা উপার্জন করা) করতে। কালনাগিণীর মাথা থাকে সামনের দিকে। অনেক সময় ছোবল মারার চেষ্টা করে। মান্তা মেয়েটি হাসি হাসি মুখে মানুষের সামনে দাঁড়ায়। বলে, ‘মা মনসারে কিছু দে!’

মেয়েটির নাম শিল্পী। পরনে পাড়বিহীন কালো শাড়ি। গায়ে আঁটসাঁট ছোট্ট ব্লাউজ। কোমরে বিছা। নাক, কান ও গলায় সুন্দর গয়না। হাতে চুড়ি। সাজগোজ তার খুব প্রিয়। ডাগর ডাগর দৃষ্টি দু চোখে। ঠোঁটের কোণে সব সময় লেগে থাকে দুষ্টু হাসি।

মানুষের চেহারা দেখে মনের কথাটি বলে দিতে পারে অনায়াসে। তাই কখনো খালি হাতে ফেরে না। সাপ দেখে সবাই ভয় পায়। সেই সুযোগে শিল্পী টাকার জন্য হাত পাতে। তাকে টাকা না দিয়ে উপায় নেই। রাগারাগি? সেটাও কোনো কাজে আসে না। কারণ তার চাই টাকা। পেটের ক্ষুধা নিবারণ এবং ফুর্তি (ওদের ভাষ্যমতে ফুতরি) করার জন্য মেলা টাকার প্রয়োজন। শিল্পী বলে, ‘ট্যাকা দেখলে ফুতরি লাগে!’ শিল্পীর মতো মান্তা পাড়ার অন্যান্য মেয়েরাও এই কাজ করে।

যখন হেঁটে যায় ধাই ধাই, রাস্তার মানুষজন তাকিয়ে থাকে ফ্যালফ্যাল করে। আমল দেয় না খুব একটা। গল্প করার সময়ও শিল্পীর হুঁশ থাকে না। একটা গল্পের সাথে আর একটা গল্পের ডালপালা জড়িয়ে ফেলে। আঁচল পড়ে গেলেও সেদিকে খেয়াল থাকে না। গল্প করেই চলে। আজ যার সাথে পরিচয়, তার সঙ্গেও।

বাড়ির পাশে আরশিনগর

সাভার বাসস্ট্যান্ড থেকে মাত্র ১৫-২০ টাকা রিকশা ভাড়া। এলাকার নাম পোড়াবাড়ি হলেও মান্তাদের বসবাসের কারণে মান্তাপাড়া বললেও সবাই চেনে। সাপুড়েপাড়া বা বাইদাপাড়া বললেও ক্ষতি নেই। যেটা বলে শান্তি লাগে বলবেন। তবে মান্তারা দাবি করে মান্তাপাড়া। প্রায় ১৫ হাজার মান্তা বসবাস করে এই এলাকায়।

মান্তারা দু ভাগে বিভক্ত। যারা সাপ ধরে, সাপের খেলা দেখায় এবং নানারকম গাছগাছালির ওষুধ বিক্রি করে তাদের বলা হয় মান্তা। আর যারা ব্যবসার জন্য নৌকায় নৌকায় ঘোরে, দাঁতের পোকা খোলে এবং চুড়ি বিক্রি করে তারা হলো সান্ধার। মান্তা এবং সান্ধার একই এলাকায় পাশাপাশি বসবাস করে। শিল্পী হলো মান্তা। ওর কথাবার্তা, আচার-আচরণ আলাদা। প্রতিটি বাক্যের শেষের শব্দে কিঞ্চিৎ জোর দিয়ে, টেনে টেনে সুর করে কথা বলে। যে কারণে খুব সহজেই তাকে আর দশটি মেয়ে থেকে আলাদা করা যায়।

খুব অল্প বয়সেই মান্তা মেয়েদের বিয়ে হয়ে যায়। বোধ-বুদ্ধি হওয়ার পর ওরা যে কাজটি করে তা হলো প্রেম। বাবা-মা তো দেশে দেশে ফুকা করে বেড়ায়। এমনকি ভারতের অনেক রাজ্যে পর্যন্ত তাদের বিচরণ। বাড়ি ফেওে বকরি ঈদে। কিংবা সর্দারের বিশেষ কোনো নির্দেশ থাকলেও ফিরতে হয়। মান্তারা সর্দারকে সম্মান করে।

মেয়েরা স্কুলে যায় না খুব একটা। বাবা-মা মনে করে ঝুট-ঝামেলা না বাড়িয়ে বিয়ে দেওয়াই ভালো। প্রেম করলে মা-বাবা তেমন কিছু একটা বলে না। কারণ পণ। মান্তাদের মধ্যে পণপ্রথা প্রচলিত। মেয়ের বাবাকে ছেলের বাবার পণ দিতে হয়। ১০-১২ এমনকি ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত পণ নির্ধারণ হতে পারে।

শিল্পীর বয়স ১৭ কী ১৮ হলেও এখনো বিয়ে হয়নি। তার একটা গোপন ইতিহাস আছে। বিষয়টি সে যার তার সাথে শেয়ার করে না। অনেক বলে-কয়ে বের করা গেছে সেই ইতিহাস। প্রিয় পাঠক, সে গল্প জানবেন একটু পরে।

শিল্পীরা দুই বোন। ছোট বোন স্বাধীনা। বয়স ১২ বছর। চুটিয়ে প্রেম করছে। রিনরিনে হাওয়ার মতো সে সবসময় যেন বেড়াচ্ছে উড়ে উড়ে। সকালবেলাতেই মধ্য দুপুরের ডামাঢোল। বয়স কম হলে কী হবে, এরই মধ্যে সে সব জেনে গেছে। আত্মস্থ করে ফেলেছে প্রেমের জটিল কবিতা। কণ্ঠস্বর একটু মোটা। কথা বলে ঠাশ ঠাশ। কাটাকাটা চাওনি। সেও ফুকা করে।

শিল্পী ৬-৭ বছর বয়সে ফুকা করতে শিখেছে। সাপ ধরাও শিখেছে। স্মৃতিসৌধ, রমনা পার্ক, ধানমণ্ডি লেক, সংসদ ভবন, বিশ্ববিদ্যালয়, সিনেমা হলের সামনে, শপিংমল, বড় বড় মার্কেট-- এসব হলো শিল্পীদের প্রিয় জায়গা। এখানে কালনাগিণী হাতে নিয়ে দাঁড়ালে কম করে হলেও ৩০০/৪০০ টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরা যায়। অনেক সময় ৫০০ পর্যন্ত। বাড়ি যখন ফেরে তখন থাকে ক্লান্ত কিন্তু মুখের দিকে তাকালে ঠাহর করা যায় আনন্দের ঝিলিক। টাকার আনন্দ এমনই!

গোখরা সাপ দুই প্রকার

প্রত্যেক মান্তার কাছেই সাপ ধরা পানির মতো সহজ ব্যাপার। ওরা সাপ ধরার কৌশল শেখে ছোটবেলা থেকেই। মায়ের কাছে। বাবার কাছে। শিল্পীর বাবার নাম আলাউদ্দিন ওরফে আলা পাগলা (ভদ্রলোক স্বভাবে বোহেমিয়ান তাই এই নামকরণ)। সে তার মেয়েদের সাপ ধরা এবং ফুকা করার কৌশল শিখিয়েছে নিজের হাতে। বাড়ির বারান্দায় ঝাঁপির মধ্যে থাকে গোখরা সাপ। ছোটবেলা থেকে দেখে আসছে ওরা। তাই সাপ দেখে ভয় পাওয়ার কথা বললে শিল্পী খিকখিক করে হেসে মরে। হাসতে হাসতে বলে ‘অরা তো আমগো ভাইবইনের লাহান। ডর পামু ক্যান?’

শিল্পীর একমাত্র ছোট ভাই রব্বানি। বয়স টেনেটুনে তিন কী সাড়ে তিন বছর। সেও সাপ দেখে ভয় পায় না। আলা পাগলা যখন ঝাঁপি খুলে তার গোখরাগুলোর দেখভাল করে তখন রব্বানি পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় গোখরারা ছোবল মারার চেষ্টা করে। রব্বানি এতে একটুও ভয় পায় না। মান্তারা কালো গোখরাকে ‘গুমা’ আর শাদা গোখরাকে বলে ‘মাসুয়ালদ’।

সাপ ধরা মন্ত্র
সাপের মন্ত্র বলে কিছু নেই। কিন্তু মন্ত্র যেটা আছে সেটা যে মিথ্যা এ কথা মান্তারা জানে। তারপরও মন্ত্রের ব্যাপারটা প্রচার করতে হয়। স্রেফ টাকা উপার্জনের জন্য। ‘সাপ তো বাপেরেও ছাড়ে না। মন্ত্রে আর কী হয়!’-- মন্ত্র সম্পর্কে সর্দারপুত্র রাজুর এমনই মন্তব্য।

শিল্পীও জানে মন্ত্রটি। অনেক সাধাসাধি করে ওর মুখ থেকে মন্ত্রটি বের করেছি। বলবার আগে শর্ত দিয়েছিলো, কাগজে টুকে নেওয়া বা রেকর্ড করা সম্পূর্ণ নিষেধ। আমি মুখস্থ করে উদ্ধার করেছি।
মন্ত্রটি এই-

রাঙ শাঙ ধামালি পিড়পিড়ে টোটো
কাটাং তুড়ি চণ্ডাল কঁও চণ্ডাল বর্মাচণ্ডাল লজ্জাবতী
বিছাটি লজ্জাবতী শিকড় কচি শিমুল গাছ
আস্তিকমণিরাজ মুনামুনি হরিচন্ড বিষল্ল
কুরুলি তুড়ক চণ্ডল চুত্রাপাতা...



সাপের বাজার

মান্তাপাড়ার প্রধান রাস্তার দু পাশে অনেকগুলো টং ঘর। টং ঘরে বেশ কয়েকটি সাপের দোকান। এখান থেকে পাইকারি ও খুচরা সাপ বিক্রি করা হয়। অন্যান্য টং ঘরে চায়ের দোকান। চাল, চাল, লবণ, তেলের দোকান। মান্তারা টং ঘরে বসে, চা খায়, তাস খেলে আর খোশগল্প করে। গাঁজা খায়। ছেলেমেয়ে বলে কথা নেই। সবাই। হাসাহাসি, হই হল্লা। দূর থেকে সাপ কিনতে আসা পুরুষরা মান্তা মেয়েদের দিকে যদি আড়ে-টাড়ে চায় তাহলে মেয়েরা বলে, ‘কি রে সাপের রগে কি আমগোও লিবি নাকি?’

গোখরা সাপ বিক্রির আগে বিষদাঁত ফেলে দেয়। বটি বা চাকু দিয়ে বিষ ফেলার সময় সাপের বিষ ছিটকে এসে পড়ে মান্তাদের হাতে বা শরীরে। সঙ্গে সঙ্গে সে বিষ ওরা ধুয়েও ফেলে।

এক্কেবারে ফুটা কইরা দিমু

এমন কেউ নেই যার কাছ থেকে শিল্পী টাকা আদায় করে না। ওদের কাছে ভদ্র-অভদ্র, ধনী-গরিব, মন্ত্রি-মিনিস্টার সবাই সমান। সবার সাথে কথা বলে তুই তুকারি করে। ওরা কাউকে ভয় পায় না। ক্ষেত্র বিশেষে বেশ ভয়ঙ্করও হতে পারে। বিদেশী জুটি পেলে মহাখুশি। কারণ বিদেশীদের কাছ থেকে বেশি টাকা খসানো সহজ। কিন্তু শিল্পী তো বিদেশী ভাষা জানে না। তাই হাতের ইশারায় সাপের জন্য কিছু চায়। বিদেশীরা হাসে। হয়তো জানতে চায় টাকা দিলে কী হবে। শিল্পী দু হাতের বন্ধন দেখায়। মানে শিগগিরই মিলন হবে।

অন্য মান্তা মেয়েদের মতো শিল্পীও খুব সহজ-সরল। কিন্তু কখনো যদি কেউ রাগিয়ে দেয় তাহলেই বিপদ। তখন গলায় সাপ পেঁচিয়ে দেবে। একবার এ-রকম ঘটনা ঘটেছিলো ঢাকা শহরের এক অফিসের দারোয়ানের সাথে।

দারোয়ান শিল্পীর দিকে বন্দুক তাক করে বলেছিলো, ‘এক্কেবারে ফুটা কইরা দিমু-- এক্কেবারে ঝাঝড়া কইরা দিমুÑঐ যে দেখছস, রাস্তায় তর বাপের বাপ সার্জন খাড়াইয়া খাড়াইয়া সিগারেট খাইতেছে।’
শিল্পী দারোয়ানের কথা শুনে তো হেসে খুন। যদিও ভেতরে ভেতরে ঠিকই রেগে গিয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে দারোয়ানের গলায় তার কালনাগিণীটি পেঁচিয়ে দিয়ে বলেছিল, ‘আরে বেটা, তুই আমারে সার্জনের ডর দ্যাখাস, আমরা অগো থিকাও ট্যাকা লই। অরা উঠতে বইতে আমাগো সালাম ঠুকে।’

দারোয়ান তখন ভয়ে কান্নাকাটি করে মরে। কোথায় যে ছিটকে পড়ে তার বন্দুক। বুঝতেই পারে না সে। অফিসের ম্যানেজার এসে সমস্যার সমাধান করে।

সর্দার

মান্তাদের বিয়ের রেজিস্ট্রি হয় না। সর্দার যা বলে, তাই ঠিক। এমনকি বিচার-সালিশ সব করে সর্দার। থানা-পুলিশ এড়িয়ে চলে ওরা। সর্দারের ছেলে সর্দার হবে এটাই নিয়ম। শিল্পী মনে করে বিয়ের রেজিস্ট্রি হওয়া দরকার।

হাসনা ফুলের গন্ধ

অনেকেই আছে যারা টং ঘরে গল্প করতে করতে সারাদিন কাটিয়ে দেয়। অবসর সময়ে শিল্পীও বসে গিয়ে টং ঘরে। তার ভাণ্ডারে গল্প কম। কোথায় গেলে টাকা বেশি কামানো যায়-- এটাই তার গল্পের বিষয। যেমন : ইস্টুডিয়ানরা (স্টুডেন্ট) বাপের হোটেলে খায়, তাই তাদের টাকা পয়সা কম। যারা সিনেমা দেখতে আসে, তাদের পকেটে টাকা থাকে। যারা গাড়িতে চলে, তারা তো বড় লোক। এদের সামনে গিয়ে শিল্পী দাঁড়ায়। পারলে সাপের ছোঁয়া দেয়। মানুষগুলো তখন ভয়ে মরে। তখন কিছু বলতেও হয় না। তাড়াতাড়ি টাকা বের করে। কিন্তু প্রেমিক-প্রেমিকা? পার্কে পার্কে তো এদের আনাগোনাই বেশি। কালনাগিণী দেখামাত্র এরা পকেটে হাত দেয়। তবে শিল্পী তাদের খুব একটা ধরে না। কেননা কোনো জুটি দেখলেই নিজের কথা মনে পড়ে যায়। ওর সমবয়সীরা এখন ২-৩ জন সন্তানের মা। ১২-১৩ বছর বয়সে সেও প্রেম করেছিলো টেপুর আলীর সাথে। একটানা ৪-৫ বছর। কিন্তু শখ করে জ্ঞানী হওয়ার আশায় টেপুর আলী গেলো কামরূপ-কামাখ্যায়। সেই যে গেলো, আর ফিরে এলো না। শিল্পী এখন খায়-দায়, ফুকা করে, গল্প করে, হাসাহাসি করে। কিন্তু মনের মানুষের কথা মনে হলে তার সব কিছু ম্লান হয়ে যায়। শুধু কান্না আসে। কিছুই ভালো লাগে না। তার এই একতরফা গভীর প্রেম দেখে সবাই হাসে। গত বছর সর্দারপুত্র রাজুর সাথে তার বিয়ের সম্বন্ধ এসেছিলো। শিল্পী রাজি হয়নি। তার একটাই কথা, বিয়ে যদি করতে হয় তাহলে টেপুর আলীকেই করবে। আর কাউকে নয়।

টেপুর আলীর কথা মনে হলে তার কিছুই ভালো লাগে না। মাঝে-মধ্যে খুব গোপনে টেপুর আলীর জন্য কাঁদে। নিজেই নিজেকে আবার সান্ত¡না দেয়। ভাবে, একদিন ফিরে আসবে। তার মনের কষ্ট কেউ দেখে না। শুধু বাইরের হাসিখুশি আর সাজগোজ দেখে।

শিল্পীর একটা প্রিয় গান আছে। টেপুর আরীর কাছ থেকে শেখা। গানটি গুনগুন করে গাইলে মনের কষ্ট দূর হয় :

হাসনা ফুলের গন্ধে ভরা
তোমার মুখের হাসি
তোমায় বিনা একলা আমি
নয়ন জলে ভাসি॥

সাহসী কিশোরী সাপুড়ে মাথি

banglanews24.com Logo

সাহসী কিশোরী সাপুড়ে মাথি

16 Jul 2011 12:52:29 PM Saturday BdST
নাজমুল হাসান, স্টাফ ফটোগ্রাফার
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: নাম তার মাথি। সাভারের পোড়াবাড়ি এলাকায় বাস। বাবা টুকু সাপুড়ে। মাও একই পেশায়। শিশুবেলা থেকেই সাপ নিয়ে খেলা। তার তালিকায় আছে গোখড়ার মতো বিষধর সাপও।

চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চল থেকে ধরে আনা একটি পঙ্খীরাজ সাপ নিয়ে নিজ বাড়ির আঙিনায় খেলতে দেখা যায় মাথিকে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলেও এ সাপের দেখা মেলে। সবুজ গাছ-গাছালির মধ্যে মিশে থাকে। এক গাছ থেকে আরেক গাছে যায়। কেউ কেউ ‘উড়ে মহারাজ’ বলেন। আবার লাউ গাছের ডগার মতো দেখতে বলে একে ‘লাউডগা’ সাপও বলা হয় কোনো কোনো এলাকায়।

অপেক্ষাকৃত কম ভয়ঙ্কর এই সবুজ রঙ্গের পঙ্খীরাজ মাথির কাছে নিতান্তই খেলনা মাত্র।

বাংলাদেশ সময় ১২৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১১

যোগাযোগ: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম, মিডিয়া হাউজ, প্লট # ৩৭১/এ (৩য় তলা), ব্লক # ডি, বসুন্ধরা রোড, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, বারিধারা, ঢাকা-১২২৯, বাংলাদেশ
ফোন: +৮৮০ ২ ৮৪০২১৮১, ৮৪০২১৮২ আই.পি. ফোন: +৮৮০-৯৬১২১২০০০০ নিউজ রুম সেল: +৮৮-০১৭২৯০৭৬৯৯৬, ০১৭২৯০৭৬৯৯৯ ফ্যাক্স: +৮৮০ ২ ৮৪০ ২৩৪৬
ইমেইল: news.bn24@gmail.com, editor.banglanews@gmail.com, editor@banglanews24.com
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম এডিটর-ইন-চিফ: আলমগীর হোসেন
কপিরাইট © ২০১১ সকল স্বত্ব ® সংরক্ষিত
একটি ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেড প্রতিষ্ঠান

Madam, if it’s a hiss, call us Snake charmers to protect President in Secunderabad


Issue Date: Sunday , July 3 , 2011

Madam, if it’s a hiss, call us
- Snake charmers to protect President in Secunderabad
Hyderabad, July 2: India may have outgrown the label of “the land of snake charmers” but when the commander-in-chief comes calling, it is best to summon all hands to the deck.
Among the few hundred commandos assigned to protect President Patil during her stay in Andhra Pradesh this week are four snake charmers and a monkey catcher.
Authorities in the Andhra capital have hired them to sterilise the Rashtrapathi Nilayam, the 90-acre presidential retreat in Secunderabad that was built in 1860 for the British regent.
But the reptile-cum-simian shield is not more than 10 years old — all because four snakes had slithered past the iron-clad protocol of the Republic and sneaked into the premises during then President K.R. Narayanan’s visit.
The state was then ruled by the Chandrababu Naidu government, the skin of which was apparently not thick enough to shrug off such a breach.
Since then, the Nehru Zoological Park has been tasked with the hair-raising mission of protecting the First Citizen from unwelcome non-human guests. Monkeys used to be a menace even two years ago.
The latest threat assessment suggests Patil can rest assured. “The situation is not that alarming this year,” said Waheed, the curator of Nehru Zoological Park. “Mostly, we found rat-snakes and some scorpions and no monkeys this year.”
Still, zoo and public works officials are not taking any chances, given the heavy vegetation and open land around the presidential building. Workers have cleared shrubs and unwanted vegetation from the entire complex.
Patil arrived today in Hyderabad to heavy security deployment because of the Telangana agitation. Two paramilitary companies and 200 civil police will guard her before she leaves for Mumbai on July 7 after a trip to Tirupati.
A senior caretaker of the presidential estates division also has reassuring words for the President. The sightings of snakes have subsided, he said. “Since last year, we have commenced clearance of snakes twice a year,” the caretaker added.
Still, it cannot be said with certainty that every conceivable chink has been plugged, especially since Patil had once disclosed she had had a conversation with the spirit of a guru when she was Rajasthan governor.
So, will ghosts rush in where snakes fear to tread? A senior public works official said there was no record of any “haunting presence” in the complex.
“But as part of tradition, we normally conduct some rituals a few days before the arrival of the VVIP to ward off any evil spirits and elements as is normally done in any government-managed mansions and bungalows,” the official added.
“There is no set procedure in the protocol book for performance of such rituals but it is normally done,” said another official.
A senior chef in the Andhra hospitality department, who has cooked for nearly every visiting President, had the last word — or hiss.
“No bhoot (ghost) could dare to invade the land and premises of our saap (snakes),” he said.
Top

চলে গেলেন ডঃ গোলাম মুস্তফা

আমাদের বন্ধু  ডঃ গোলাম মুস্তফা চলে গেলেন । ০৭/০৪/১১ রাতে কলকাতাতে তিনি মারা গেছেব। তার এই অকাল প্রয়ানে আমরা শোকাহত। তার পরিবারকে আমরা সমবেদনা জানাই।

                                                                                            বেদিয়া ফেডারেশান

Bedia Book release in Bangladesh 10-03-11

Include Bedey community in 5th census'
Thu, Mar 10th, 2011 7:00 pm BdST

Dhaka, Mar 10 (bdnews24.com) – Bangladesh Workers Party president Rashed Khan Menon has demanded that the members of Water Gypsies, locally known as Bedey community, be included in the fifth national population census.

The countrywide census will be take place between Mar 15 and 19.

"The country has no specific statistics of the Bedey community. The government should include the Bedey community people in the next census," Menon said on Thursday addressing the cover unveiling function of the publication 'The Bedey tribe in light of anthropology'.

Bedia Federation of Bangladesh arranged the function.

Journalist Raktim Das, also the writer of the book, said the language and culture of a 1500-year-old community are on the verge of extinct."

He said that the gypsy community is facing all sorts of difficulties surviving due to state laws and religious obstacles. "The book has been published as an attempt to include this community in the mainstream, apart from preserving their cultures and traditions."

Bedia Federation convenor Anwarul Karim Razu said that the book was a document of the culture, history, language and anthropological extension of the country's Bedey community.

Dhaka University's anthropology department professor Helaluddin Shamsul Ahmed and advisor to the Bedia Federation Mahmudul Hasan, among others, also spoke at the function.

The 120-page book has been published by Nawroz Publication and priced at Tk 150.

bdnews24.com/arr/skb/shk/1809h