বনরাজ্যে এরা অসহায়!







বুধবার | ৩ জুলাই ২০১৩ |
বনরাজ্যে এরা অসহায়!
 

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) :লাউয়াছড়া রিজার্ভ ফরেস্টে ফনা তোলা সাপ সমকাল
ম কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
দেশের বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য ও প্রাকৃতিক বনরাজ্য মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া রিজার্ভ ফরেস্ট থেকে বেরিয়ে বছরে এক হাজার ৫০০ সাপ মারা যায় শুধু গাড়িচাপায়। এদের অধিকাংশই বিলুপ্ত প্রজাতির। এভাবে চলতে থাকলে এক সময় হারিয়ে যাবে দেশের ঐতিহ্যবাহী লাউয়াছড়া বনের বিরল প্রজাতিসহ ৩২ প্রজাতির সাপ। সম্প্রতি পরিচালিত সাপ গবেষণার এক জরিপে এমনই তথ্য পাওয়া গেছে। জরিপে দেখা গেছে, প্রতিদিনই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সড়কের লাউয়াছড়া অংশে ৪-৫টি মৃত সাপ দেখতে পাওয়া যায়। এ হিসাবে মাসে গড়ে ১২০ থেকে ১৫০টি বিভিন্ন প্রজাতির সাপের অকাল মৃত্যু ঘটে। এ হিসাব অনুযায়ী বছরে দুর্ঘটনায় মৃত সাপের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৫শ'র কাছাকাছি।
সম্প্রতি লাউয়াছড়ায় সাপ নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে বাস্তবতা প্রত্যক্ষ করে সাংবাদিকদের এ তথ্য দেন তরুণ সাপ গবেষক শাহরিয়ার সিজার মাহমুদ। তিনি জানান, এ পর্যন্ত তার দেখা ৩৫ প্রজাতির মধ্যে ১৪ প্রজাতির সাপই তিনি গাড়িচাপায় মৃত অবস্থায় শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। প্রতিদিন লাউয়াছড়ায় গাড়িচাপায় ও বনদস্যুদের হাতে ৫-৬টি করে সাপ মারা যাচ্ছে। হিসাব করে দেখা গেছে, বছর শেষে এ সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়িয়ে যাচ্ছে। সিজারের গবেষণায় শনাক্তকৃত বাংলাদেশে প্রথম আবিষ্কৃৃত বেন্ডেড টিংকেট ও ইরিডিসেন্ট সাপ দুটিও মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। বাংলাদেশে প্রথম আবিষ্কৃৃত এ সাপ দুটির একটি পাওয়া যায় লাউয়াছড়ার পার্শ্ববর্তী বন জানকীছড়ায় এবং অন্যটি পাওয়া যায় লাউয়াছড়ার প্রবেশ পথের কাছাকাছি শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সড়কে স্পিডব্রেকারের পাশে। এভাবে চলতে থাকলে এক সময় লাউয়াছড়ার সাপগুলো হারিয়ে যাবে। ফলে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়বে আমাদের পরিবেশ। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ হিসেবে গবেষকরা বলেছেন, লাউয়াছড়ার পাকা রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী প্রত্যেকটি যানবাহন সর্তক হয়ে চালাতে হবে। কোনো অবস্থায় লাউয়াছড়ার ভেতরে ২০ থেকে ৩০ কিলোমিটারের বেশি বেগে গাড়ি চালাতে দেওয়া উচিত নয়। এ ব্যাপারে সিলেট বিভাগীয় বন সংরক্ষক (বন্যপ্রাণী) মাহাবুর রহমান জানান, এটা রোধ করা কঠিন। লাউয়াছড়ায় সাইনবোর্ড দিয়ে গাড়ি ধীরে চালানোর জন্য ইতিমধ্যে সর্তকবাণী দেওয়া হয়েছে।
তবে বন্যপ্রাণীর নিরাপত্তায় এ রাস্তার পরিবর্তন করে লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্ককে যানবাহনের আওতামুক্ত রাখাই সর্বোত্তম। এ ব্যাপারে লাউয়াছড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মর্তুজা আলী জানান, এ সড়কের যানবাহনগুলো আস্তে আস্তে চললে বনের জীবজন্তু নিরাপদ থাকবে। শ্রীমঙ্গলের বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সীতেশ রঞ্জন দেব জানান, শক্ত আইন হলে তা রোধ করা সম্ভব। দেশের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে যেভাবে হাইকোর্ট জোরাল ভূমিকা রেখে থাকেন, এ ক্ষেত্রেও পশুপাখি, জীবজন্তু ও সরীসৃপ রক্ষায় তাদের এগিয়ে আসা উচিত।

বনরাজ্যে এরা অসহায়!







বুধবার | ৩ জুলাই ২০১৩ |
বনরাজ্যে এরা অসহায়!
 

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) :লাউয়াছড়া রিজার্ভ ফরেস্টে ফনা তোলা সাপ সমকাল
ম কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
দেশের বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য ও প্রাকৃতিক বনরাজ্য মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া রিজার্ভ ফরেস্ট থেকে বেরিয়ে বছরে এক হাজার ৫০০ সাপ মারা যায় শুধু গাড়িচাপায়। এদের অধিকাংশই বিলুপ্ত প্রজাতির। এভাবে চলতে থাকলে এক সময় হারিয়ে যাবে দেশের ঐতিহ্যবাহী লাউয়াছড়া বনের বিরল প্রজাতিসহ ৩২ প্রজাতির সাপ। সম্প্রতি পরিচালিত সাপ গবেষণার এক জরিপে এমনই তথ্য পাওয়া গেছে। জরিপে দেখা গেছে, প্রতিদিনই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সড়কের লাউয়াছড়া অংশে ৪-৫টি মৃত সাপ দেখতে পাওয়া যায়। এ হিসাবে মাসে গড়ে ১২০ থেকে ১৫০টি বিভিন্ন প্রজাতির সাপের অকাল মৃত্যু ঘটে। এ হিসাব অনুযায়ী বছরে দুর্ঘটনায় মৃত সাপের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৫শ'র কাছাকাছি।
সম্প্রতি লাউয়াছড়ায় সাপ নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে বাস্তবতা প্রত্যক্ষ করে সাংবাদিকদের এ তথ্য দেন তরুণ সাপ গবেষক শাহরিয়ার সিজার মাহমুদ। তিনি জানান, এ পর্যন্ত তার দেখা ৩৫ প্রজাতির মধ্যে ১৪ প্রজাতির সাপই তিনি গাড়িচাপায় মৃত অবস্থায় শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। প্রতিদিন লাউয়াছড়ায় গাড়িচাপায় ও বনদস্যুদের হাতে ৫-৬টি করে সাপ মারা যাচ্ছে। হিসাব করে দেখা গেছে, বছর শেষে এ সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়িয়ে যাচ্ছে। সিজারের গবেষণায় শনাক্তকৃত বাংলাদেশে প্রথম আবিষ্কৃৃত বেন্ডেড টিংকেট ও ইরিডিসেন্ট সাপ দুটিও মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। বাংলাদেশে প্রথম আবিষ্কৃৃত এ সাপ দুটির একটি পাওয়া যায় লাউয়াছড়ার পার্শ্ববর্তী বন জানকীছড়ায় এবং অন্যটি পাওয়া যায় লাউয়াছড়ার প্রবেশ পথের কাছাকাছি শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সড়কে স্পিডব্রেকারের পাশে। এভাবে চলতে থাকলে এক সময় লাউয়াছড়ার সাপগুলো হারিয়ে যাবে। ফলে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়বে আমাদের পরিবেশ। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ হিসেবে গবেষকরা বলেছেন, লাউয়াছড়ার পাকা রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী প্রত্যেকটি যানবাহন সর্তক হয়ে চালাতে হবে। কোনো অবস্থায় লাউয়াছড়ার ভেতরে ২০ থেকে ৩০ কিলোমিটারের বেশি বেগে গাড়ি চালাতে দেওয়া উচিত নয়। এ ব্যাপারে সিলেট বিভাগীয় বন সংরক্ষক (বন্যপ্রাণী) মাহাবুর রহমান জানান, এটা রোধ করা কঠিন। লাউয়াছড়ায় সাইনবোর্ড দিয়ে গাড়ি ধীরে চালানোর জন্য ইতিমধ্যে সর্তকবাণী দেওয়া হয়েছে।
তবে বন্যপ্রাণীর নিরাপত্তায় এ রাস্তার পরিবর্তন করে লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্ককে যানবাহনের আওতামুক্ত রাখাই সর্বোত্তম। এ ব্যাপারে লাউয়াছড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মর্তুজা আলী জানান, এ সড়কের যানবাহনগুলো আস্তে আস্তে চললে বনের জীবজন্তু নিরাপদ থাকবে। শ্রীমঙ্গলের বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সীতেশ রঞ্জন দেব জানান, শক্ত আইন হলে তা রোধ করা সম্ভব। দেশের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে যেভাবে হাইকোর্ট জোরাল ভূমিকা রেখে থাকেন, এ ক্ষেত্রেও পশুপাখি, জীবজন্তু ও সরীসৃপ রক্ষায় তাদের এগিয়ে আসা উচিত।

বোয়ালমারীতে বেদে সমপ্রদায়ের ব্যতিক্রমী মিলনমেলা

বোয়ালমারীতে বেদে সমপ্রদায়ের ব্যতিক্রমী মিলনমেলা


ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা সদরের ছোলনা এলাকার রেল স্টেশনের ফাঁকা    জায়গায় অনুষ্ঠিত হল (বেদে সম্প্রদায়ের) মিলন মেলা। মিলন মেলা উপলক্ষে ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, বরিশাল ও যশোর এলাকার যাযাবর সমপ্রদায়ের সহস্রাধিক সদস্য বেশ কয়েকদিন ধরে জড়ো হয়। শতাধিক তাঁবু স্থাপন করে যাযাবর সমপ্রদায়ের নারী-পুরুষ-শিশুরা সাতদিনব্যাপী এ আনন্দ উত্সবে মেতে ওঠে। বুধবার মহাভোজে অংশ নেয়ার মাধ্যমে তাদের মিলন মেলার সমাপ্তি ঘটে। মিলন মেলা শেষ হলেও তারা আরো কিছুদিন এখানে অবস্থান করবে বলে জানিয়েছে এই সম্প্রদায়ের নেতারা। যাযাবরদের ভাষায়: নিহে( নিকাহ)-বিয়ে-ফয়তা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে তারা এ সমাবেশের আয়োজন করেছে। মিলন মেলা উপলক্ষে কয়েকটি বিয়েও হয়। এছাড়া ওই অনুষ্ঠান চলাকালে ১০ শিশুকে খত্না করানো হয়। যাযাবর সরদার মো. মিজার সরদার জানান, আমরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে ব্যবসা-বাণিজ্য করে বেড়াই। ইচ্ছা থাকলেও একসাথে থাকতে বা এক হতে পারি না। এমনকি ঈদের সময়ও তা হয়ে ওঠে না। তার ভাষ্য: এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা এক জায়গায় মিলিত হতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। তিনি আরো জানান, প্রতিবছরই আমরা যেকোন একটি জায়গায় নিজেদের মধ্যে সৌহার্দ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে মিলিত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানালেন, যাযাবর সমপ্রদায়ের কিছু লোক আমাদের এলাকায় জড়ো হয়ে কয়েকটি অনুষ্ঠান করছে। আমরা তাদের সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, এতে শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট হওয়ার কোন আশংকা নেই, বরং প্রতিদিন অনেক মানুষ ভিড় জমিয়ে তাদের সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হচ্ছে।

Snake charmers protest against ban



 
 http://www.chinadaily.com.cn/life/2009-02/20/content_7497109.htm
Snake charmers protest against ban
(Agencies)
Updated: 2009-02-20 14:07
Snake charmers protest against ban
Snake charmers in India have staged a protest against a law which bans them from using live serpents.
About 1,000 performers marched through Calcutta playing their flutes in opposition to the 1991 ban, reports the BBC.
The protestors claim that the law threatens their livelihoods and have called for it to be overturned. Despite the ban, hundreds of thousands of snake charmers still perform the traditional show.
The head of India's snake charmers federation Raktim Das said: "We are being consistently harassed by the police for keeping snakes, which are snatched away without paying us compensation." He suggested that serum farms could be established where charmers could sell venom for medical use.
Meanwhile, animal rights groups have argued that the ban should be kept to curb the abuse of snakes.

ঝিনাইদহে সাপের কামড়ে সাপুড়েসহ ২ জনের মৃত্যু


 banglanews24.com logoসাপের বিষ দাঁত যদি সাপুড়েরা ভেঙে দেয়, তবে খেলা দেখাতে গিয়ে সাপের কামড়ে সাপুড়ে মারা গেল কেন? পরিবেশবিদরা বলবেন দয়া করে....................      03 Oct 2012   06:20:29 AM   Wednesday BdST


ঝিনাইদহে সাপের কামড়ে সাপুড়েসহ ২ জনের মৃত্যু


জেলা প্রতিনিধি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কালুহাটি ও বাটিকাডাঙ্গা গ্রামে মঙ্গলবার সাপের কামড়ে সাপুড়েসহ দুই জনের মৃত্যু হয়েছে।

মৃত ব্যক্তিরা হলেন- সদর উপজেলার কালুহাটী গ্রামের আলফাজ উদ্দীনের ছেলে আদিল উদ্দীন (২৬) ও একই উপজেলার বাটিকাডাঙ্গা গ্রামের সমির উদ্দীন (৫৪)।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের মেম্বার শাহাজালাল জানান, আদিল উদ্দীন মাঠে কাজ করার সময় তাকে বিষধর সাপে দংশন করে। গ্রামবাসী উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে সন্ধ্যা ৬টায় তিনি মারা যান।

অপরদিকে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানান, সকাল ১০টার দিকে বাদপুকুরিয়া গ্রামে সাপ খেলা দেখানোর সময় সাপুড়ে সমির উদ্দীন সাপের কামড়ে আহত হন।
তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকেল ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৬০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১২

banglanews24.com logo29 Sep 2012   06:48:19 PM   Saturday BdST


মাগুরায় ঐতিহ্যবাহী সাপ খেলা প্রতিযোগিতা


রূপক আইচ,জেলা প্রতিনিধি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
মাগুরা: হাড়ি ও বাক্স থেকে বের হয়ে আসা খৈয়া গোখরা, পদ্ম গোখরা, কাল কেউটেসহ ভয়ঙ্কর সব বিষধর সাপ নিয়ে নানা মন্ত্র ও হাতের কসরতের মাধ্যমে খেলা দেখালেন সাপুড়েরা ।

জিহ্বাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফণাতোলা বিষধর সাপের দংশন নিয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন দর্শকদের। এমনকি জীবন্ত সাপ মুখের মধ্যে নিয়ে বিভিন্ন কসরত দেখানোর পাশাপাশি এক পর্যায়ে মাথা কামড়ে খেয়ে ফেললেন সাপুড়েরা।

এভাবেই ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও হাজারও দর্শকের উপস্থিতিতে মাগুরা সদর উপজেলার হাজরাপুর ইউনিয়নে শুক্রবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল গ্রাম বাংলার ঐহিত্যবাহী ঝাপান বা সাপ খেলা প্রতিযোগিতা।

প্রতিযোগিতায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সর্বমোট ১১ জন সাপুড়ে কমপক্ষে ২শ সাপ নিয়ে খেলা দেখান।

হাজরাপুর ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয় হাজরাপুর রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আয়োজনে এ ঝাপান খেলা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিযোগিতায় মোট ১১ জন সাপুড়ে অংশগ্রহণ করেন। তারা হলেন- নজীর সরকার, লিটন সরকার, স্বপন দেওয়ান, খোকন সরকার, সরফরাজ দেওয়ান, নূর মহম্মদ, আ. রহমান, রাশিদুল ইসলাম, শাহিন রহমান, সোহেল মিয়া ও অপু দেওয়ান।

প্রতিযোগিতায় এদের মধ্যে ঝিনাইদহের চণ্ডিপুরের খোকন সরকার প্রথম, শ্রীপুরের রাশিদুল ইসলাম দ্বিতীয় ও ঝিনাইদহের চাঁনপুরের লিটন সরকার ৩য় স্থান অধিকার করেন।

স্থানীয় যুবক রবিউল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‌‍‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‍‍‍‍‌‌‌“যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশে সাপের খেলা বা ঝাপান খেলা চলে আসছে। এটি আমাদের গ্রামীণ সংস্কৃতির একটি ঐতিহ্যবাহী অংশ। কিন্তু বর্তমানে মানুষের ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে এ খেলাগুলো বিলীন হতে বসেছে। এ কারণে আমরা স্থানীয়ভাবে এ ঝাপান খেলার আয়োজন করেছি। বিনোদনপ্রিয় মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি আমাদের আগামীতেও এ ধরনের খেলার আয়োজন করায় উৎসাহিত করছে।”
হাজরাপুর গ্রামের গৃহবধূ মনিরা পারভীন বাংলানিউজকে বলেন, “ছোটবেলায় রাস্তার পাশে সাপের খেলা দেখতাম। কিন্তু এখন তা আর তেমন চোখে পড়ে না। এখানে এই ঝাপান খেলায় প্রায় ২শ সাপ নিয়ে সাপুড়েরা খেলা দেখাচ্ছেন। এক জায়গায় এত সাপের উপস্থিতি ও বৈচিত্র্যপূর্ণ খেলা দেখা সাধারণত সম্ভব হয় না। তাই, সমস্যা থাকলেও বাড়ির অন্যান্য মেয়েদের নিয়ে ঝাপান খেলা দেখতে এসেছি।”

স্থানীয় হাজরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান বাংলানিউজকে বলেন, “এলাকার মানুষের নির্মল চিত্ত বিনোদনের উদ্দেশ্যে ঐতিহ্যবাহী এ ঝাপান খেলার আয়োজন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে এলাকার মানুষের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন তৈরি করা আমাদের উদ্দেশ্য।”

এ ধরনের খেলার আয়োজনের মাধ্যমে গ্রামীণ ঐতিহ্য রক্ষায় সবাই এগিয়ে আসবেন, এ আশাই করছেন সাপুড়ে, এলাকাবাসী ও আয়োজক ব্যক্তিরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১২
 http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=287a06a832067a9c42092a9f332e2ee8&nttl=29092012142053

সাপের জন্য সারাজীবন


ঢাকা, শনিবার, ২২ ফাল্গুন ১৪১৬, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৩১, ৬ মার্চ ২০১০

সাপের জন্য সারাজীবনকলকাতা থেকে মোটরসাইকেলে জরুরি কাজে বেরিয়েছিলেন তিনি। এর মধ্যে সেলফোনে খবর এল মুকুন্দপুর গ্রামে অতিকায় এক চন্দ্রবোড়া ধরা পড়েছে। সাপটি যাতে পালিয়ে যেতে না পারে সে জন্য মাছ ধরার কোচ দিয়ে সাপটিকে গেঁথে রাখা হয়েছে মাটির সঙ্গে। অপর প্রান্ত থেকে তাগাদা_ 'জলদি যান, সাপটিকে মেরে আসুন। কেউ সাহস পাচ্ছে না।' অনেক বড় ভুল করলেন অপর প্রান্তের লোকটি। যাকে সাপ মারতে বলছেন, তার জীবনের ধ্যানজ্ঞানই হচ্ছে সাপ রক্ষা করা। সৈয়দ মাহ্মুদ জামানের সঙ্গে আলাপচারিতায় ভারতের সর্পমানব খ্যাত ড. রক্তিম দাশ জানালেন তার সর্পপ্রেমের ইতিকথা
একে তো সাপটিকে কোচ দিয়ে মাটিকে গেঁথে রাখা হয়েছে, তার ওপর আবার দূর থেকে সবাই পাথর মারছে। এভাবে চলতে থাকলে কিছুক্ষণের মধ্যেই বিরল ওই বিষধর সাপটি মারা যাবে। সবাইকে দূরে সরে যেতে বললেন রক্তিম। ভালো করেই জানেন, চন্দ্রবোড়ার কামড়ের পর মুহূর্তের মধ্যে বিষ রক্তে মিশে যায় এবং দ্রুত রক্তকোষ ভেঙে দেয়। রোগীকে বাঁচাতে হলে অনেক সময় শরীরের রক্তও বদলাতে হয়। এদিকে, আহত সাপটি নিজেকে রক্ষার জন্য আরো ভয়াবহ হয়ে উঠছিল। রক্তিম সাধারণত খালি হাতেই সাপ ধরেন। কিন্তু এক্ষেত্রে আর ঝুঁকি নিতে চাইলেন না। একটি বাঁশের টুকরো নিয়ে বাঁ হাতে সাপের মাথা চেপে ডান হাতে কোচটি সরিয়ে ধরে ফেললেন সাপের গলা। কিন্তু ভাগ্য সহায় হলো না। চন্দ্রবোড়ার বিষাক্ত দাঁত গেঁথে গেল রক্তিমের হাতে। দীর্ঘদিন ধরে সাপ নিয়ে আছেন। স্নায়ু শক্ত হয়েছে রক্তিমের। আর তাই শরীরে বিষ ঢোকার পরও নিজের হাতে আহত সাপটির ক্ষত সেভলন দিয়ে ধুয়ে ব্যান্ডেজ করে ছেড়ে দিলেন। এরপর ফোন করলেন পরিচিত এক ডাক্তারকে। বিষরোধক অ্যান্টি ভেনম ইনজেকশন প্রস্তুত রাখতে বলে নিজেই বাইক চালিয়ে রওনা দিলেন ১২ কিলোমিটার দূরের ক্লিনিকের উদ্দেশে। যথাসময়ে বিষরোধক দেওয়া হলো। ডাক্তার বললেন, আপনি প্রথম রোগী যিনি ফোন করে বললেন সাপে কেটেছে এবং নিজেই এসে হাজির। সাপটা বেঁচে গিয়েছিল। কিন্তু রক্তিমকে টানা ১২ দিন কাটাতে হয়েছিল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে। ভারতের বেদেদের নিয়ে কলকাতার যাদবপুরে প্রতিষ্ঠা করেছেন 'বেদিয়া ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া'। এটি বেদেদের নিয়ে বিশ্বের একমাত্র সংগঠন। ১৯৭২ সাল থেকে ভারতে বেদে পেশা নিষিদ্ধ। কিন্তু তারপরও বেদে সম্প্রদায়ের অধিকারের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন রক্তিম। ভারতে প্রায় ৮ লাখ বেদের বাস। কিন্তু যাযাবর বলে ভোটার তালিকায় তাদের নাম নেই। নাগরিক অধিকার থেকে তারা বঞ্চিত। তবে অধিকার আদায়ের জন্যই কাজ করে যাচ্ছেন রক্তিম।সাপের প্রতি রক্তিমের আগ্রহ ছোটবেলা থেকেই। তখন থেকেই পোকামাকড় পুষতে শুরু করেন। "শরৎচন্দ্রের 'শ্রীকান্ত' চরিত্রটি খুব টানত। উইম্বলডনে টেনিস প্লেয়ার হানা মান্ডেলিকোভা কোর্টে আসতেন প্রকাণ্ড এক ময়াল সাপ নিয়ে। টিভিতে এসব দেখে রোমাঞ্চিত হতাম। এসব দেখেই আগ্রহটা জন্মায়"। রক্তিম আরো বলেন, 'পাড়ায় যেসব সাপুড়ে আসত সাপের খেলা দেখাতে, তাদের সঙ্গে ভাব জমানোর চেষ্টা করতাম। প্রথম দিকে পাত্তা দিত না। পরে আস্তে আস্তে বিশ্বাস অর্জন করলাম। ওদের বাড়িতে থেকেছি, খেয়েছি। বুঝতে শিখেছি। ওদের একটা আলাদা ভাষা আছে, মান্তা বা বেদিয়া ভাষা।' রক্তিমের এই শ্রম ও সাধনা বৃথা যায়নি। একসময় বেদে গোষ্ঠীকে একত্র করে তাদের অধিকার আদায়ে সফল হন তিনি। ২০০৫ সাল থেকে বেদেদের নাম উঠতে থাকে ভোটার তালিকায়। তবে সাপ ও সাপুড়ে নিয়ে মানুষের ভুল ধারণা ভাঙার লড়াই এখনো চলছে। কুসংস্কার নিয়ে নিজের জীবনের একটি গল্প শোনালেন রক্তিম। সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যাওয়ার সময় চাকায় একটি সাপ জড়িয়ে গিয়েছিল। সাপটিকে চাকা থেকে খুলতে গেলে সাপটি তাকে কামড়ে দেয়। আশপাশের সবাই একের পর এক পরামর্শ দিতে থাকে। কেউ হাতে বাঁধন দিতে এগিয়ে আসেন, কেউ ওঝা ডাকার কথা বলেন আবার কেউবা ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে চান। কিন্তু কিশোর রক্তিম জানতেন ওটা ছিল নির্বিষ সাপ। তাতেও কি তারা দমে! একজন বললেন, নির্বিষ হলেও শনি-মঙ্গলবারে সাপের বিষ হয়। আজ শনিবার, তাই বিষ ধরবেই। তাছাড়া আজ তো পূর্ণিমা। বিষ না থাকার প্রশ্নই আসে না! রক্তিম জানালেন, পূর্ণিমা-অমাবস্যায় যদি অতিরিক্ত কোনো চোখ-কান তৈরি না হয়, তবে সাপের বিষ আসাও সম্ভব নয়।এমন কুসংস্কারের অবশ্য কারণও আছে। ২৭০ প্রজাতির সাপ আছে ভারতে। বিশ্বের আর কোথাও এত বেশি প্রজাতির সাপ নেই। আবার হিন্দুদের ধর্মীয় আচারের একটি বড় অংশজুড়ে আছে এই সাপ। গোঁড়া বিশ্বাসীদের কাছ থেকে কুসংস্কার রটতেই পারে। রক্তিম বলেন, '২৭০টির মধ্যে মাত্র ৬০ প্রজাতির সাপ বিষাক্ত। এগুলোর কারণেই সাপের সঙ্গে মানুষের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। 'সাপ মানেই ভয়ঙ্কর একটা প্রাণী'_ধারণা নিয়ে থাকে প্রায় সবাই। দেখা মাত্রই ওটাকে মারতে তৈরি হয়ে যায়। অথচ শীতল রক্তের প্রাণীটিই কিন্তু কৃষিপ্রধান দেশটিতে ফসল ধ্বংসকারী ইঁদুরের মহামারী ঠেকিয়ে রেখেছে।'বেদেদের এই সংগঠনটি দাঁড় করানোর স্বীকৃতিস্বরূপ পিসি সরকার রিয়েলিটি অব ম্যাজিক প্রতিষ্ঠান থেকে সম্মানসূচক পিএইচডি ডিগ্রি দেয়া হয় রক্তিম দাশকে। তার তথ্যভাণ্ডার তাই যথার্থই সমৃদ্ধ। জানালেন, বছরে ভারতে প্রায় ছয় লাখ লোককে সাপে কাটছে। তবে এর মধ্যে মৃতের সংখ্যা অনেক কম। এক্ষেত্রে যদি সাপে কাটার পর ওঝা না ডেকে রোগীকে কোনো বেদের কাছেও নিয়ে যাওয়া হয় তাও ভালো হয়। কারণ সাপে কাটার প্রাথমিক চিকিৎসা ভালোই জানে ওরা। অজ্ঞ ওঝাদের কারণে অনেক সময় মৃত্যু এড়ানো যায় না। তবে আগে হোক পরে হোক, ডাক্তারবাবুর কাছে যেতেই হবে।ড. রক্তিম দাশকে নিয়ে যুক্তরাজ্যের 'গার্ডিয়ান' পত্রিকা গত ২ সেপ্টেম্বর একটি ফিচার প্রকাশ করে। এর নেপথ্যেও রয়েছে মজার ঘটনা। ২০০৯ সালের জুনে সাইপ্রাস সরকারের আমন্ত্রণে ইউরোপে গিয়েছিলেন রক্তিম দাশ। তিন মাস ধরে ইতালি, জার্মান, সুইডেন ও হল্যান্ডে ভারতীয় বেদেদের নিয়ে তিনি ২১টি লেকচার দেন। সেসময় ইতালির ভরুজায় স্নেকপার্কে র‌্যাটল স্নেক দেখে তা ধরার ইচ্ছা পোষণ করেন তিনি। পার্কের প্রধান ড. কার্লোস গ্লাভস ও সাপ ধরার লাঠি দিতে চাইলে রক্তিম বলেন খালি হাতে সাপ ধরে তিনি অভ্যস্ত। এরপর সবাইকে অবাক করে দিয়ে বিশ্বের অন্যতম বিষাক্ত র‌্যাটল স্নেক তুলে নিলেন অবলীলায়। উৎসবে উপস্থিত গার্ডিয়ানের সাংবাদিক রক্তিমের সঙ্গে কথা বলেন। আলাপচারিতায় জেনে নেন তার সাপপ্রেমের ইতিবৃত্ত।২০০৯ সালে বেদেদের নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেন রক্তিম দাশ। যা ২০০৯ কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ও জার্মানির হামবুর্গ চলচ্চিত্র উৎসবে জুরি অ্যাওয়ার্ড পায়। এই রক্তিম কিন্তু নিজেকে জন্মসূত্রে বেদে বলে পরিচয় দেন। পাকিস্তান আমলে বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতির পৈত্রিক ভিটে ছেড়ে রক্তিমের বাবা সুনীল রঞ্জন চলে গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গে। জন্ম সেখানে হলেও বাংলাদেশের প্রতি রক্তিমের আছে এক অদ্ভুত টান। সুযোগ পেলেই ছুটে আসেন। বেদেরা যেমন ছুটে যায় পাহাড়ে জঙ্গলে।http://www.dailykalerkantho.com/index.php?view=details&archiev=yes&arch_date=06-03-2010&type=gold&data=Antivirus&pub_no=96&cat_id=3&menu_id=47&news_type_id=1&index=1









হার্টের চিকিৎসায় সাপের বিষ



Wednesday, 08 August 2012 07:49:11 PM
হার্টের চিকিৎসায় সাপের বিষ
ঢাকা টাইমসডেস্ক: জার্মানিতে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক হয়ে। হার্টের প্রচলিত ওষুধে রয়েছে আবার ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। চিকিৎসক ও গবেষকরা এখন নতুন ওষুধ তৈরির ব্যাপারে মাথা ঘামাচ্ছেন। হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের অন্যতম প্রধান কারণ হল থ্রম্বোসিস বা রক্তের জমাটবাঁধা। যেসব ওষুধ দিয়ে রক্তের জমাটবাঁধা দূর করা বা প্রতিহত করা যায়, সেগুলোতে রয়েছে আবার অনেক ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। ফ্রাঙ্কফুর্টের জীবরসায়নবিদ ইয়োহানেস এব্লে বিকল্প কোনো উপাদান খোঁজ করছিলেন অনেক দিন থেকে। অবশেষে সাপের বিষে পেলেন তার সন্ধান। পূর্ব অস্ট্রেলিয়ার গাছগুলোতে আস্তানা গাড়তে ভালোবাসে বিষাক্ত ডোরাকাটা সাপেরা। গায়ের রঙ কালো, আঁশওয়ালা চামড়া। এই সাপের মারাত্মক বিষ যে কী করতে পারে, সেই অভিজ্ঞতা হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার এক সাপ গবেষক ব্রায়ান গ্রিগ ফ্রাইয়ের। তিনি জানান, ‘এই সাপ দংশন করার পর আমি পাঁচ মিনিটের মতো অজ্ঞান হয়ে ছিলাম। যখন জ্ঞান ফিরল, তখন আমার সারা দেহেই বিষের ঝড় বয়ে গেছে। রক্তের রাসায়নিক প্রক্রিয়া প্রায় ধ্বংসের মুখে। এজন্য যে ওষুধ দেয়া হয়েছিল, সেটা কাজে লাগতে ১৮ ঘণ্টা লেগে যায়। সে পর্যন্ত দংশনের জায়গাগুলো থেকে অনবরত ফোঁটা ফোঁটা রক্ত পড়তে থাকে।

সাপের বিষের প্রতিক্রিয়ায় রক্ত জমাট বেঁধে আঘাতটা সারতে পারেনি। এই খবরটা পেয়ে টনক নড়ে ওঠে ফ্রাঙ্কফুর্টের জীবরসায়নবিদ ইয়োহানেস এব্লের। হয়তো বা সাপের বিষেই পাওয়া যাবে রক্তের জমাটবাঁধা প্রতিহত করার নতুন ওষুধ। সাপের বিষে রয়েছে নানা ধরনের হাজার হাজার মলিকিউল বা অণু। সবগুলোই বিষাক্ত নয়। অনেকগুলো আবার অন্য উপাদানের সংস্পর্শে এসে বিষাক্ত হয়। ইয়োহানেস এব্লে জানান, সাপের বিষে শুধু যে রক্ত জমাটবাঁধা প্রতিহত করার উপাদান রয়েছে তা-ই নয়, কিছু কিছু উপাদান আবার জমাট বাঁধতেও সাহায্য করে। অর্থাৎ এক ধরনের উপাদানের কারণে শিরায় রক্ত যেমন জমাট বেঁধে যায়, অন্য উপাদানের কারণে আবার দেহের কোষে রক্ত প্রবাহিত হয়। ফলে রক্তের ঘনত্ব দারুণ কমে যায়, যা অত্যন্ত মারাত্মক। এ উপাদানগুলোই কাজে লাগাতে চান বিজ্ঞানী এব্লে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কার্যকর ও সামঞ্জস্যপূর্ণ কিছু তৈরি করতে প্রকৃতির লাখ লাখ বছর লেগেছে। তার মানে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াকে কম রাখার জন্য আমাদের প্রকৃতি থেকে শিখতে হবে। যার অভাব রয়েছে প্রচলিত ওষুধপত্রে। রক্তের জমাটবাঁধা প্রতিহত করার উপাদান খোঁজা বেশ সময় সাপেক্ষ। প্রথমে রক্ত জমাট বাঁধায় যে অণুগুলো কাজ করে সেগুলোকে খুঁজে বের করতে হবে। শরীরের আঘাতের জায়গা থেকে রক্ত পড়তে থাকলে, সেখানে এক ধরনের প্রোটিন বা কোলাজেন তৈরি হয়। রক্তের প্লাটিলেট নতুন আকৃতি নেয় এবং তৈরি করে এক ধরনের জাল। এই জালই আঘাত থেকে রক্তপাত বন্ধ করে।

সাপের বিষে একধরনের উপাদান থাকে, যা রক্তের কোলাজেন তৈরিতে বাধা দেয়। ফলে রক্ত জমাট বাঁধতে না পেরে অনবরত পড়তে থাকে। এখন প্রশ্ন এই যে, সাপের বিষে হাজার হাজার অণুর মধ্যে যেটি রক্তের জমাটবাঁধা প্রতিহত করে, সেটিকে খুঁজে বের করা যায় কীভাবে? এজন্য বিজ্ঞানী এব্লে ও তার সহকর্মীরা নতুন ধরনের এক পদ্ধতি বের করেছেন। প্রথমে রাসায়নিক পদ্ধতিতে কৃত্রিম কোলাজেন-রিসেপ্টর তৈরি করেন তারা। তারপর এটিকে সাপের বিষের সংস্পর্শে এনে রক্তজমাট প্রতিরোধী উপাদানটি খুঁজতে শুরু করেন। পদ্ধতিটি খুব সহজ বলেই মনে করেন জীবরসায়নবিদ ইয়োহানেস এব্লে। তার ভাষায়, অনেকটা মাছ ধরার মত। মাছ ধরতে হলে যেমন সঠিক টোপটি ফেলতে হয় তেমনই। কৃত্রিম রিসেপ্টরের কাছে সাপের বিষের কিছু অণু জমা হতে থাকলে গবেষণার দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হয়।

গণিত বিজ্ঞানীরা খুঁজে পাওয়া অণুগুলোর চালচিত্র হুবহু অনুকরণ করে কম্পিউটারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। রাসায়নিক বিজ্ঞানীরা এই অণুগুলো কৃত্রিম উপায়ে তৈরি করা যায় কিনা, সে ব্যাপারে অনুসন্ধান চালান। এসব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি নতুন ওষুধ বাজারে আসার আগে আরো অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে জীবরসায়নবিদ এব্লে ও তার সহকর্মীদের অবদান অনস্বীকার্য। তাদের অক্লান্ত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই সাপের বিষে ধন্বন্তরী উপাদানগুলো খুঁজে বের করা সম্ভব হয়েছে।

PETA to snake charmers: Use fake snakes on Nag Panchami



PETA to snake charmers: Use fake snakes on Nag Panchami

"Nag Panchami, which is held in honour of serpent god Nag Devta, instead of paying tribute to them, becomes a mockery. It is a torture for these fascinating reptiles," said PETA-India, campaign coordinator, Chani Singh in a statement.
According to the Hindu calendar, every year Nag Panchami is celebrated on the fifth day of the moonlit-fortnight in the month of Shravan.
"We have also asked the Bedia Federation of India and Organisation of World Bedia and Snake Charmers to encourage the use of fake snakes in place of real ones during this year's Nag Panchami," Singh said.
PETA said captured snakes are often kept in suffocating bags or tiny boxes, starved and their fangs violently yanked out, or their mouths painfully sewn shut. The snake's venom duct is often pierced with a hot needle, causing its glands to burst.
Some snakes have their eyes damaged when the 'tika' (vermillion) applied to their hoods during prayer ceremony trickles into them.
The organisation said many believe that snakes consume milk. But milk is not part of their natural diet and it causes them to become severely dehydrated. Most die as a result, it said.
"We urge snake charmers to show their compassion for these tormented animals and use fake ones made up of plastic or wood instead," Singh added.
IANS


Read more: http://india.nydailynews.com/business/95b88fa02a5b0d59f885a768c4e44f16/peta-to-snake-charmers-use-fake-snakes-on-nag-panchami#ixzz21ASWhovP

Indian snake charmers urged to switch to fakes

AFPIndian snake charmers urged to switch to fakes
NEW DELHI — Animal rights group PETA on Friday called on India's snake charmers to use fake reptiles during an upcoming serpent festival and spare the animals their annual torture.
The Indian unit of US-based People for the Ethical Treatment of Animals (PETA) said snakes were abused during the annual Naag Panchami festival, which is celebrated in honour of a Hindu serpent god and is scheduled for August 30-31.
PETA claimed snakes were cruelly captured in suffocating bags, kept in tiny boxes, starved or forced to drink milk. Their teeth are often violently torn out, and many snakes' mouths are sewn shut, it added.
"There is no place in a civilised society for yanking snakes' teeth out and sewing their mouths shut," PETA India campaign coordinator Chani Singh said in a press statement.
"PETA India is calling on snake charmers to rein in this egregious abuse by using fake snakes for God's sake," Singh added, saying that realistic plastic or rubber snakes could be used instead.
PETA's statement was swiftly condemned by the Bedia Federation of India, a non-profit agency which represents the nomadic snake charmer community.
"How can PETA accuse us of torturing and abusing snakes? We worship snakes, we would never want them to suffer and die," Raktim Das, the general secretary of the federation, told AFP.
Das said the call by PETA was nothing short of a publicity stunt aimed at making life more difficult for their 800,000-strong community which had been "living a life of penury" in the wake of strict wildlife laws.
"Our livelihood has been snatched from us. There is no alternative employment opportunity for us. Where do we go and what do we do to earn a living?" Das said.
The snake charmers have long been a favourite with tourists in India but the practice was proscribed under wildlife legislation implemented in 2002.
The Naag Panchami festival goes ahead regardless, with devotees worshipping snake pictures, idols or in some cases live serpents.
A small number of charmers can still be spotted around major tourist sites in places like New Delhi, risking arrest as they cajole foreign visitors into taking a snapshot for a small fee.

লাউয়াছড়ায় প্রতিবছর মারা যাচ্ছে দেড় হাজার সাপ


মৌলভীবাজার,প্রতিনিধি : দেশের প্রাকৃতিক অন্যতম বন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে প্রতিবছর ১ হাজার ২শ থেকে দেড় হাজার সাপ গাড়ি চাপা ও ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যায় বলে বন্যপ্রাণী গবেষকরা জানিয়েছেন। প্রতিবছর গাড়ি চাপায় ও ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যাওয়া এ সাপের মধ্যে অধিকাংশই দেশে বিলুপ্ত প্রজাতির সাপ। গত শুক্রবার রাতে একটি সাপ গাড়ি চাপায় মারা গেলেও বন বিভাগ এ ব্যাপারে কিছুই জানে না। প্রতি বছর এভাবে গাড়ি চাপায় ও ট্রেনে কাটা পড়ে সাপগুলো মারা গেলে একসময় লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান থেকে সরীসৃপ প্রজাতীর প্রাণীগুলো বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে বলে বন্যপ্রাণী গবেষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।

সিলেট বন বিভাগের অন্যতম বন কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া বন বিটকে ১৯৯৬ সালে সরকারীভাবে জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করা হয়। এ অভায়রণ্যে রয়েছে ৩৪ প্রজাতির সাপ। এর মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার দুর্বল সাপও রয়েছে। লাউয়াছড়ার বুক চিড়ে প্রবাহিত কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়ক ও সিলেট-আখাউড়া রেলপথ। প্রতিদিন কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়ক দিয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে বিভিন্ন ধরনের শত শত যানবাহন আর রেলপথ দিয়ে চলাচল করছে আন্তঃনগর ও লোকাল ট্রেনগুলো। বনের এক পাশ থেকে অপর পাশে যাতাযাতের সময় প্রতিদিনই বিভিন্ন প্রজাতির ছোট বড় ৩-৪ টি সাপ উদ্যানের বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও রেলপথে গাড়ি চাপা ও ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যাচ্ছে। কোন কোন মাসে এ সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে বলেও গবেষক সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গলের মাগুরছড়া এলাকায় একটি সাপ মরা পড়ে থাকতে দেখা যায়।

ধারণা করা হচ্ছে শুক্রবার রাতে কোন এক সময় সড়ক পাড়াপাড়ের সময় প্রায় পৌনে ৪ ফুট লম্বা এ সাপটি গাড়ি চাপায় মারা গেছে। এ সময় কানাই দাস নামে এক যুবক সাপটি নিয়ে যায়। সে নিজেকে সাপ গবেষক শাহরিয়ার সিজারের সহযোগী দাবী করে বলেন, গাড়ি চাপায় মারা যাওয়া সাপটির নাম হচ্ছে ফণিমনসা। অসতর্কতার কারণেই বিভিন্ন গাড়ীর নিচে চাপা পড়ে ও ট্রেনে কাটা পড়ে প্রতিদিনই এভাবেই বিভিন্ন প্রজাতীর ৩-৪টি সাপ মারা যাচ্ছে। তাদের এ হিসেবে মাসে গড়ে ৯০ থেকে ১২০টি এবং বছরে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১ হাজার ৮০ থেকে ১২শ সাপ মারা যাচ্ছে। তবে কখন এ সাপটি মারা গেছে তা জানে না স্থানীয় বন বিভাগ।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মাহাবুর রহমান এর সাথে যোগাযোগ করলে গাড়ি চাপায় মারা যাওয়া সাপের ঘটনাটি তার জানা নেই বলে জানান। তবে খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে কি হয়েছিল। তিনি বলেন, গাড়ি চাপায় সাপ মারা রোধ করা খুবই কঠিন। ইতিমধ্যেই লাউয়াছড়ায় প্রবেশের উভয় পাশে গাড়ি ধীরে চলাচলের জন্য সতর্কবাণী হিসাবে সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। তবে বন্যপ্রাণীর নিরাপত্তার স্বার্থে এ সড়কটি পরিবর্তন করে ন্যাশনাল পার্কের বাইরে নিয়ে যাওয়া সর্বোত্তম বলে তিনি মনে করেন। বন বিভাগের সাথে যৌথভাবে সাপ গবেষণার কাজ করছে ক্যারিনাম সংস্থার নির্বাহী সম্পাদক ড. এস এম এ রশীদ।
http://www.amadershomoy2.com/content/2012/02/10/news0651.htm